Sobujbangla.com | পৌর নির্বাচনে প্রার্থীর অর্থ খরচ বেধে দিলো ইসি
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

পৌর নির্বাচনে প্রার্থীর অর্থ খরচ বেধে দিলো ইসি

  |  ২০:০২, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের খরচের সীমাবদ্ধতা বেধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রত্যেক পৌর মেয়রপ্রার্থী পাঁচ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না। যদিও ইসির বেধে দেওয়া খরচের সীমাবদ্ধতা অধিকাংশ সময়ে প্রার্থী মানেন না। এরপরও প্রার্থীরা যেন নিজেদের ইচ্ছেমত নির্বাচনে অর্থ ব্যয় না করেন এ জন্য ইসি এ ধরনের সীমাবদ্ধতা দেয়।
দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৫টির ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি এবং তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অবশিষ্ট পৌরসভা নির্বাচনের সময়সূচি পর্যায়ক্রমে একাধিক ধাপে ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রত্যেকে কত টাকা খরচ করতে পারবেন নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী তা নির্ধারণ করে ইসি পরিপত্র-৮ জারি করেছে। সে অনুযায়ী, প্রত্যেক মেয়র পদপ্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। আর প্রত্যেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ সর্বোচ্চ ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। অবশ্য পৌরসভা ও ওয়ার্ডে ভোটার ভেদে এই ব্যয় আরও কম করার বিধান রয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত খরচ বাবদ অনধিক ২৫ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, ২৫ হাজার একজন থেকে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার এক থেকে এক লাখ ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
আর নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে দুই লাখ টাকা, ২৫ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা, ৫০ হাজার এক থেকে ১ লাখ ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা এবং ১ লাখ এক থেকে তার ওপরে ভোটার সম্বলিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত খরচ বাবদ অনধিক ৫ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, ৫ হাজার এক থেকে ১০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা, ১০ হাজার এক থেকে ২০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা এবং ২০ হাজার এক ও তার ওপরে ভোটা সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
আর নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ৫ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা, ৫ হাজার এক থেকে ১০ হাজার ভোটার সম্বলিত ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা, ১০ হাজার এক থেকে ২০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা এবং ২০ হাজার এক থেকে তার ওপরে ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
বিধি ৪৯ অনুযায়ী, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্তিগত খরচ ও নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্বাচনী ব্যয় সীমার অতিরিক্ত কোনো অর্থ খরচ করতে পারবেন না। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে ওই প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। তবে উল্লিখিত নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্তিগত খরচ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ করতে পারবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ