Sobujbangla.com | গাইবান্ধায় চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ, আখক্ষেতে আগুন।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

গাইবান্ধায় চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ, আখক্ষেতে আগুন।

  |  ১৯:০৪, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০

গাইবান্ধার কৃষিভিত্তিক একমাত্র ভারীশিল্প কারখানা উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়াত্ত ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ রাখার প্রতিবাদে শনিবার মহিমাগঞ্জে ব্যাপক বিক্ষোভ ও আখ ক্ষেতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা। প্রতিবাদ সমাবেশের পর তারা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে চিনিকল চালুর দাবি মানা না হলে হরতাল, রাজপথ-রেলপথ অবরোধ ও চিনিকলের আওতাধীন সকল জমির দন্ডায়মান আখ আগুনে পুড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সামনে গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় এপথে চলাচলকারী ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে। বেলা ১২টা পর অবরোধ তুলে নিয়ে রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, আখচাষী সমিতি, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, অওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সম্মিলিতভাবে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
এতে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। এর সাথে ২৪ ডিসেম্বর মহিমাগঞ্জ এলাকায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করা হবে। এরমধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে হরতাল, রাজপথ-রেলপথ অবরোধ, গণঅনশন ও চিনিকলের আওতাধীন সকল জমির দন্ডায়মান আখ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়েই মিলস গেট সাবজোনের গোপালপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান নামের এক আখচাষী বেলা ১টার সময় তার এক একর জমির আখে আগুন লাগিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সোনাতলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষুব্ধ আখচাষী জিল্লুর রহমান বলেন, রংপুর চিনিকলের চেয়ে ছোট জয়পুরহাট চিনিকলে আখ দিতে গেলে তাদের জমিতেই আখ শুকিয়ে যাবে। ছয় মাসেও তারা আখ মাড়াই করতে পারবে না। এর ফলে ধানের আবাদও করা সম্ভব হবে না। তাই এ আখ পুড়িয়ে দিলে আগামী বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ করা যাবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ