ভারতীয় ঋণসহ অমিমাংসিত ইস্যুতে আলোচনা না হওয়ায় হতাশ বিশ্লেষকরা।

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারতীয় ঋণের অর্থছাড়ের জটিলতা কমানোসহ আলোচিত বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা না হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা। তবে, এই মুহূর্তে তাদের কাছে সবচেয়ে বড় সংকট মনে হয়েছে ব্রহ্মপুত্রে চীনের বাঁধ প্রকল্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে চীনকে বোঝানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারতের একজোট হয়ে মাঠে নামা উচিত।
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দুদেশের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আশা করা হয়েছিল, অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর জট খুলতে কিছুটা সহায়ক হবে, এবারের আলোচনা। তবে, সেই আশায় গুড়েবালি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রতিশ্রুত ঋণের অর্থছাড়ের জটিলতা নিরসন, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় পণ্য পরিবহনে ভারতের ভেতর দিয়ে ট্রানজিটের মতো বিষয়গুলো আলোচিত না হওয়াটা দুঃখজনক।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে ভারতের দীর্ঘদিনের টালবাহানার পর, এবার ব্রাহ্মপুত্রে চীনের বাঁধ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। এতে সংকটে পড়বে ভারতও। সুরাহায় এখনই যৌথ উদ্যোগের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ন কবির ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খানের ধারণা, ভূ-রাজনীতির চেয়েও পানি পেতে কূটনীতিক প্রচেষ্টা আরও তীব্র না করলে, আখেরে আরও পস্তাতে হবে, এই অঞ্চলের সবাইকে।