Sobujbangla.com | উন্নয়ন বিড়ম্বনায় সিলেটবাসী, নগরজুড়ে অর্ধশত ‘মরণ ফাঁদ।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

উন্নয়ন বিড়ম্বনায় সিলেটবাসী, নগরজুড়ে অর্ধশত ‘মরণ ফাঁদ।

  |  ১৮:০৫, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০

বিভিন্ন কারনে গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাতিক রাজধানী সিলেট। সুন্দর এই পরিপাটি শহরটিতে হঠাৎ করেই উন্নয়ন বিড়ম্বনায় পড়েছেন নগরবাসী। এমনকি উন্নয়নের ফাঁদে পড়ে ইতিমধ্যে একজন কবিরও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই এই দায়ভার নিতে চাচ্ছেনা সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আর এ নিয়ে ফুসে উঠছেন সচেতন মহল। প্রায় প্রতিদিনই নগরীতে কবির মৃত্যুও প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। নগরজুড়ে দেখা যায়, নগরীর অধিকাংশ ড্রেনই খোলা রেখে চলছে উন্নয়ন কাজ। তবে এসব উন্নয়ন এখন জনগনের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের পর দিন খুড়ে রাখা হয়েছে রাস্তা, ড্রেন গুলো উন্মুক্ত রেখে ময়লা পানি ছড়িয়ে বিনষ্ট করা হচ্ছে পরিবেশ। নতুন নির্মানাধীন ড্রেন ও রাস্তায় বের করে রাখা রডে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সবশেষ গত ৮ ডিসেম্বর নগরীর আম্বরখানার হুরায়রা ম্যানশনের সামনে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে প্রাণ যায় কবি, ছড়াকার ও শিক্ষক আব্দুল বাসিত মোহাম্মদের। এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের অবেহলার বিষয়টি উঠে এসেছে। নগরঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় অন্তত অর্ধশত খোলা ড্রেন রয়েছে। যার খুব কম সংখকই নির্মাণাধীন। অধিকাংশ এসব ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কেবল স্ল্যাব বসানোর অভাবেই ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না ড্রেনগুলো। আর এতে করেই এসব ড্রেন এখন মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে। আম্বরখানা থেকে সাপ্লাইগামী সড়কের উভয় আশে অন্তত ২২ টি খোলা ড্রেন দেখা গেছে। এসব ড্রেনের অধিকাংশই কাজ শেষ এবং পাশেই স্ল্যাব নির্মাণ করে রাখা হয়েছে। তবে কেবল বসানোর অভাবেই ট্রেনগুলো খোলা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু ড্রেন এখনো নির্মানাধীন থাকলেও কোন ধরণের নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়নি। এদিকে চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানাগামী সড়কের বাম পাশ দিয়েও প্রায় ৭ টির মতো ড্রেন খোলা। কয়েক শত মিটারের এ সড়কেই নির্মানাধীন এতো ড্রেন থাকলেও সিসিকের পক্ষ থেকে নেই কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী। আর কবি বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর পর সিসিকের পক্ষ থেকে এ ড্রেনে নামমাত্র বেষ্টনী তৈরি করা হলেও বাকি সকল ড্রেনই আখনো রয়েছে অরক্ষিত। এমতাবস্থায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে কয়েকটি ড্রেনে লাল ফিতা বেঁধে সংকেত তৈরি করেছেন। কেবল তাই নয়, নগরী ব্যবস্থতম জিন্দাবাজরে লন্ডন ম্যানশন, রাজা ম্যানশনের সামনে এবং জিন্দাবাজার-মর্জাজাঙ্গাল সড়ক আছে খোলা ড্রেন। স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় ৭/৮ মাস সময় থেকেই এসব ড্রেন খোলা রয়েছে। কোথাও কোথাও পুরনো ড্রেনের ময়লা অপসারণের জন্য ড্রেনের স্ল্যাব সরানো হলে পরে আর স্ল্যাব বসানো হয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সব মিলয়ে সিসিকের উন্নয়ন বিড়ম্বনায় পড়ে কবি বাছিত মোহাম্মদের মৃত্যুর পর ফুসে উঠেছেন সিলেটবাসী। প্রায় প্রতিদিনই কবির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন সচেতন মহল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকালও নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদমিনার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছে সম্মেলিক ছড়া পরিষদ, সিলেট

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ