Sobujbangla.com | কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে সরকারি ডেটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে সরকারি ডেটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত।

  |  ১৯:০৯, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা আজ তাঁর নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে সব সরকারি সংস্থা বাধ্যতামূলকভাবে তাদের তথ্য সংরক্ষণ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এখন থেকে সরকারি সংস্থাগুলো আইসিটি বিভাগের অধীনে কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে তাদের ডেটা সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোও অর্থ প্রদানের মাধ্যমে তা করতে পারবে।
ডেটা সেন্টারের ধারণ ক্ষমতা ৩০০ টেরাবাইট বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যশোরের কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত তথ্যগুলোর একটি ব্যাকআপ থাকবে যাতে ডেটা সেন্টারটি কোনও উপায়ে ধ্বংস করা হলেও ডেটা হারাতে না পারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে মন্ত্রিসভা ‘বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড’ শীর্ষক একটি সংস্থার মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন ও সংস্থার আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের সংশোধিত খসড়ায় ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারের সব মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোর তাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে তাদের নিজস্ব সার্ভার খুলতে হবে। তিনি বলেন, তথ্য সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে, এমনকি ডেটা সেন্টারের মালিকদের কোনও সংস্থার ডেটায় প্রবেশাধিকার থাকবে না এবং কেবল সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজ নিজ ডেটাতে প্রবেশাধিকার থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার এই কোম্পানির প্রাথমিক পরিচালন তহবিল হিসাবে ৫০ কোটি টাকা দেবে যা ছিল ১০ কোটি টাকা। এরপরে সংস্থাটিকে নিজস্ব রাজস্ব আয় দিয়ে ডেটা সেন্টার চালাতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইসিটি বিভাগ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামলাতে বাংলাদেশের নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা মোকাবেলায় কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে একটি বিস্তৃত উপস্থাপন করেছে। উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, ১০টি প্রযুক্তি যা ভবিষ্যতের বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে। সেগুলো হল : উন্নত উপাদান, ক্লাউড প্রযুক্তি, স্বায়ত্তশাসিত যানবাহন, কৃত্রিম জীববিজ্ঞান, ভার্চুয়াল অগমেন্টেড রিয়েলিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবট, ব্লকচেইন, ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ এবং ইন্টারনেট।
তিনি বলেন, সুতরাং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উন্মোচনের জন্য আমাদের কাছে ১০টি প্রযুক্তির বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। কারণ এছাড়া আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে সময়মতো হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কীভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পরিচালনা করব তার উপর আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করবে। আমরা যদি এটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারি তবে আমরা সমস্যার মুখোমুখি হব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় উৎপাদন ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ প্রযুক্তি পরিবর্তিত হবে। তাই বাংলাদেশকে বিপ্লবের জন্য তার কর্মীদের উপযুক্ত করে তুলতে হবে, অন্যথায় এটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, অর্থনীতি, প্রযুক্তি বা অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে পিছিয়ে পড়বে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় উৎপাদন ও শিল্প প্রযুক্তি ব্যবস্থা পুরোপুরি পরিবর্তিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত করতে হবে, অন্যথায় তা আন্তর্জাতিকভাবে পিছিয়ে পড়বে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ