Sobujbangla.com | নিখোঁজের দু’মাস পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

নিখোঁজের দু’মাস পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার।

  |  ২০:৪৪, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আলমগীর হোসেন (২২) নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
গ্রামের কয়েকজন তরুণ এদিন সকালে স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরতে নামেন। একপর্যায়ে তাঁরা পুকুরের কাদার মধ্যে ওই কঙ্কালের সন্ধান পান। মৃত আলমগীর হোসেন প্রায় দুই মাস আগে নিখোঁজ হয় বলে জানা যায়।
নিহত আলমগীরের বাবা খাদিমপুর গ্রামের কাতব আলী কঙ্কালটির পরণের পোশাক দেখে ছেলের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করেন। আলমগীর পেশায় একজন কৃষি শ্রমিক ছিলেন। তবে পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কাতব আলী জানান- আলমগীর গত ১০ অক্টোবর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়, এরপর থেকে সে নিখোঁজ। এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর তিনি আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও পুলিশ তাঁর সন্তানের সন্ধান মেলাতে পারেনি।
এদিকে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ বেলা ১টায় খাদিমপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাতব আলীর অভিযোগ, তাঁর ছেলের কাছে থাকা ১৫-১৬ হাজার টাকা দামের মুঠোফোন ও প্রায় ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্র জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
কাতব আলীর দাবি- বয়সে পার্থক্য থাকলেও ওই ছাত্রের সঙ্গে আলমগীরের বন্ধুত্ব ছিল। ওই ছাত্র গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করত। তারা দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনার আগের দিন থেকে আলমগীর নিখোঁজ। ওই ছাত্র পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তার কাছে অনেক টাকা পাওয়া যায়।
কাতব আলী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ছেলেকে খুনের পর টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে ওই ছাত্র তার বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পারিবারিক উদ্যোগে যাদের গত ১৫ দিন আগে বিয়েও দেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত স্কুলছাত্র তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার দাবি, গ্রামের বড় ভাই হিসেবে নিহত আলমগীরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এর বেশি কিছু নয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, খাদিমপুর গ্রামের একদল কিশোর মাছ ধরতে গিয়ে কঙ্কালের সন্ধান পান। বিষয়টি জানার পর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ