Sobujbangla.com | হবিগঞ্জ এখন বক পাখির অভয়ারণ্য।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

হবিগঞ্জ এখন বক পাখির অভয়ারণ্য।

  |  ১৮:২৪, নভেম্বর ২৬, ২০২০

প্রশাসনের অব্যাহত অভিযানের ফলে বকপাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে হবিগঞ্জ। অভিযানে ফাঁদসহ শিকারিদের আটক করে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, বানিয়াচং, মাধবপুর, চুনারুঘাট উপজেলার হাওর ও পাহাড়ের বকপাখিদের রক্ষায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের উদ্যোগে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ প্রেমিকরা।
স্থানীয় পরিবেশপ্রেমিক তারেক তালুকদার বলেন, শীতকাল আসামাত্র একশ্রেণির লোকজন হাওরে ফাঁদ পেতে বক শিকার করে বিক্রি করে আসছিল। এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বক শিকারিদেরকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাখি শিকারিরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। অনেকে আবার শিকার ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
হবিগঞ্জের বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর আজীবন সদস্য ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, আমাদের প্রকৃতি থেকে বক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। গ্রামে, হাওরে, নদীতে, বিলে ঝিলে আগের মতো বক দেখা যায় না। কোনো কোনো অঞ্চল থেকে হারিয়েই গেছে। কারণ, কিছু লোভী ও অবিবেচক মানুষ বক শিকার করছে। আবার তারা যখন শহরে পাখি নিয়ে আসে তখন আরেক শ্রেণির লোকেরা সেগুলো কিনে নিচ্ছে। কারণ, নিষিদ্ধ পাখি ক্রয় করে তারাও আইন অমান্য করছে, অপরাধ করছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ফসলের খেতে অতিরিক্ত ও বেহিসেবি রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগের ফলে হাওর, বিল. ঝিলের পানিতে সেসব পদার্থ মিশে ছোট মাছ, ব্যাঙাচি ও অন্য পোকা-মাকড় মরে যাচ্ছে। বংশ বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। ফলে বক ও অন্যান্য পাখির খাবার কমে যাওয়ায় দিন দিন তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বক মানুষের বন্ধু। প্রকৃতিরও বন্ধু। অনেক অপ্রয়োজনীয় পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। ফসলের উপকার করে। ওদের মল মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
তিনি হবিগঞ্জে বক রক্ষায় প্রশাসনের অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, এ অভিযানের ফলে বক নিরাপদ হচ্ছে। পরিবেশের জন্যও বিরাট উপকার বয়ে আনছে।
হাওর এলাকার বাসিন্দা সমুজ মিয়া জানালেন- হাওরে একটি চক্র বক শিকারে সক্রিয়। প্রশাসনের অভিযান তাদের শিকারে বিরাট বাধার সৃষ্টি করছে।
পরিবেশ প্রেমিক বন গবেষক আহমদ আলী বলেন, পরিবেশ রক্ষা না হলে আমাদের সবার জন্যই বিপর্যয় নেমে আসবে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই বক রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, বক পরিবেশের উপকারী পাখি। এটি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। বক রক্ষায় সবার সাথে আমরাও কাজ করছি। ফলে হাওরে বকের বিচরণ বাড়ছে।
তিনি বলেন- হবিগঞ্জ জেলার একদিকে পাহাড়। পাহাড় থেকে নেমে এসেছে অসংখ্য ছড়া। এসব ছড়ার মিলন হয়েছে অপরদিকের হাওরে। হাওরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ। রয়েছে পোকা মাকড়। যা বক ও মাছরাঙা পাখির পছন্দের খাবার। সঙ্গত কারণে হাওরের কাছের বাঁশ বাগান ও গাছে গাছে বাসা বেঁধেছে হাজারো বক।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ