Sobujbangla.com | সুনামগঞ্জে আদালতের রায়ে টিকল ৪৭ সংসার।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সুনামগঞ্জে আদালতের রায়ে টিকল ৪৭ সংসার।

  |  ২০:৫৭, নভেম্বর ২৫, ২০২০

সুনামগঞ্জে আদালতের যুগান্তকারী রায়ে টিকল ৪৭ টি সংসার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় আদালত কাউকে কারাগারে না পাঠিয়ে কিংবা বিচ্ছেদ না মেনে বাদী-বিবাদী (স্বামী-স্ত্রীকে) সহবস্থানে থেকে একত্রে বসবাস করার শর্তে আপোষ নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ৪৭ টি পৃথক মামলার একসঙ্গে দেওয়া রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রী সকলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আইনজীবীরা। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে যেন এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। শিশুরাও তাদের বাবা-মাকে এক সাথে পেয়ে আন্দোলিত হয়ে উঠেন।
৪৭ টি পৃথক মামলার বাদী-বিবাদীর আপোষ নিষ্পত্তির অঙ্গিকারনামা পেয়ে আদালত একসঙ্গে দেওয়া রায়ে ৪৭ টি মামলার ৯৪ জন বাদী-বিবাদী (স্বামী ও স্ত্রীকে) একত্রে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৪৭ দম্পতিকে ফুল দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আপোষনামায় ৪৭ দম্পতি অঙ্গীকার করে বলেন, সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার, ধর্ম পালন করবেন তারা। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করবেন না। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দিবেন। স্বামী-স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমানিল্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। স্বামী কখনও স্ত্রীকে নির্যাতন করবেন না, স্ত্রীকে নির্যাতন করলে বা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালত পৃথক ৪৭টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় একসঙ্গে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন। সকল মামলার বাদী বিবাদীকে আপোষে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীকে মিলেমিশে পরিবারে একত্রে বসবাস করতে হবে। ভবিষ্যতে তারা ঝগড়-বিবাদ না করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবেন।
বিচার প্রার্থীরা জানান, এ রায়ে তারা অনেক খুশি হয়েছেন। তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে। যদি মা-বাবা আলাদা হয়ে যেত তা হলে সন্তানের ভবিষ্যৎ হুমকির সম্মুখীন হতে হত। এখন আমরা মিলে মিশে সংসার করলে সন্তানদেরও মানুষ করা সম্ভব।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ