Sobujbangla.com | উন্নয়নে নীরব, ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই উচ্চকণ্ঠ গবেষকরা : তথ্যমন্ত্রী
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

উন্নয়নে নীরব, ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই উচ্চকণ্ঠ গবেষকরা : তথ্যমন্ত্রী

  |  ১৫:৩৬, নভেম্বর ০১, ২০২০

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইএমএফ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রতিফলনে উপমহাদেশ জুড়ে প্রশংসার তোলপাড় পড়ে গেলেও দেশের অনেক গবেষণা সংস্থা নীরব রয়েছে। অথচ ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই তাদের উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা যায়। রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ভিডিওকনফারেন্সে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপ্তিকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। ড. হাছান বলেন, ‘আইএমএফ’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’র প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বিশ্বের গুটিকতক ভালো প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম। আইএমএফ বলছে, এ বছরের শেষান্তে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই প্রতিবেদন প্রকাশে পুরো উপমহাদেশে প্রশংসার তোলপাড় গড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের সমস্ত গণমাধ্যমে, রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা হচ্ছে। শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও একই ঘটনা। পাকিস্তানে কোনো কোনো টেলিভিশনে আবার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বলছে ‘আমাদের ভায়েরা এগিয়ে যাচ্ছে’। সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তানে এখন এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।’ ‘কিন্তু বাংলাদেশে যারা অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে কাজ করেন, অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের মুখে আমরা কোনো বক্তব্য দেখতে পাই নাই’  আক্ষেপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আইএমএফ কিম্বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা কোনো পত্রিকা যদি ছিটেফোঁটা নেতিবাচক প্রতিবেদনও দিতো, তাহলে দেখতে পেতেন এতদিনে তাদের বক্তব্যে সমস্ত টেলিভিশন ঝালাপালা হয়ে যেতো।’  তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে ইতিবাচক প্রতিবেদন নিয়ে ভারত জুড়ে তোলপাড়, এতে তারা নিশ্চুপ। এতে প্রশ্ন আসে, দেশে ভালো কিছু হলে তারা আদৌ খুশি হন কি না। তারা কি আসলে দেশকে খারাপভাবে, নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার জন্য গবেষণা করেন। কোনো ইতিবাচক কোনো প্রতিবেদন হলে তারা নিশ্চুপ থাকেন কেন -এটিও অনেকেরই প্রশ্ন।’ এসময় মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে অবমাননাকর কোনো কিছু আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। অতীতেও এ ধরণের ধর্মীয় আঘাতের প্রতিবাদ করা হয়েছে। কোনো ধর্মের অনুভূতিতেই আঘাত দেয়া কখনই সমীচীন নয়। পাটগ্রামের ঘটনার ব্যাপারেও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনাও কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। পৈশাচিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদেরকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ