Sobujbangla.com | সিলেট নগরীর রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল দশা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সিলেট নগরীর রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল দশা।

  |  ১৮:১৬, অক্টোবর ৩০, ২০২০

ভাঙাচোরা খানা-খন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে নগরীর সড়কগুলো। নগরের বেশির ভাগ সড়কের অবস্থা বেহাল। অনেক রাস্তা দীর্ঘদিন খুঁড়ে রাখা হলেও তা জোড়া লাগানোর কেউ নেই। যতো দ্রুত রাস্তাঘাট খোড়া হয় তত দ্রুত জোড়া লাগায় না কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পুরো নগরী এখন ধুলায় ধূসরিত। ধুলো যেন জেঁকে বসেছে নগরে। স্কুলপড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী, অভিভাবক, পথচারীসহ মানুষজনকে প্রতিনিয়ত যেন লড়াই করতে হচ্ছে ধুলার সঙ্গে। আর এ অবস্থায় কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ধুলা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ মাস্ক আবার কেউ নাকে হাত চেপে পথ পাড়ি দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে এসব রাস্তার বিভিন্ন অংশের ইট, পাথর, বিটুমিন, রড ও খোয়া ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাগুলো অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী। তবে এই অনুপযোগী রাস্তা ব্যবহার না করেও উপায় নেই। এতে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। আর এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে যানবাহনের ছোট-বড় যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। আর ভাঙাচোরা সড়কে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অভিযোগ ওঠেছে, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা মেরামত না করায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সবকটি রাস্তাটি ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর প্রবেশের প্রধান রাস্তাটির মেন্দিভাগ থেকে সোবহানীঘাট-বন্দরবাজার অংশ ভেঙে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরে আছে। বিশেষ করে সোবহানীঘাট টু বন্দরবাজার রাস্তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। এ রাস্তার ধোপাদিঘিরপারস্থ পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র বাসা পর্যন্ত সড়কের অবস্থা আরো করুণ। পুরো রাস্তায় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে ঢালাইয়ের অস্তিত্বও দেখা যায়নি। ঢালাই ওঠে গিয়ে রড বেরিয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে গর্ত পানিতে ভেসে যায়, ফলে রাস্তা ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বিপাকে পড়ে। গর্তে আটকা পড়ে ছোট-বড় যানবাহন। এ সময় রাস্তার দু’পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। অথচ জেলা প্রশাসন, আদালত, নগরভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের অফিস ছাড়াও সরকারী-বেসরকারী স্কুল-কলেজ এবং শহরের বাণিজ্যিক এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। এছাড়া নগরের জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়ক। এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ চলছে। প্রথমে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষে এখন চলছে বিদ্যুৎ লাইন ভ‚গর্ভস্থ করার কাজ। এ কাজেও দীর্ঘসূত্রিতা দেখা গেছে। ফলে সড়কটি প্রায় চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। এতে দিনভর লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। একই অবস্থা নগরের চৌহাট্টা-আম্বরখানা, মিরের ময়দান (ব্লু-বার্ড স্কুলের সামনে থেকে) সুবিদবাজার সড়ক, আম্বরখানা-মদিনা মার্কেট সড়ক, জিন্দাবাজার-জেল রোড টু টিলাগড় সড়ক, কুমারপাড়া-নাইরপুল সড়ক, নয়াসড়ক-কাজিটুলা সড়কসহ নগরীর বেশিরভাগ সড়কের। প্রায় দুই বছর আগে এসব সড়কের সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়। অনেক সড়কের অর্ধেক সংস্কার কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফলে প্রায় দুই বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ