Sobujbangla.com | আর মূল হোতা এসআই আকবরসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল রয়েছে সিলেট।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

আর মূল হোতা এসআই আকবরসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল রয়েছে সিলেট।

  |  ১৪:০৭, অক্টোবর ২৩, ২০২০

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যুর ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এসআই আকবর ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করতে পরেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলাটির বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’র (পিবিআই)। এ পর্যন্ত বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অপর তিন সদস্যদের মধ্যে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতারও দেখানো হয়নি। মঙ্গলবার টিটুকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এই ঘটনার পরই তুমুল সমালোচনার মুখে বৃহষ্পতিবার এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবারয়াকে বদলি করা হয়েছে। জানা যায়, এস আই আকবর ভূঁইয়াকে পালাতে সহযোগীতা করায় বুধবার ওই ফাঁড়ির ‘টু-আইসি’ এসআই হাসান উদ্দিনকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে কাষ্টঘর এলাকার সুইপার কলোনির সুলাই লালসহ দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আর মূল হোতা এসআই আকবরসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল রয়েছে সিলেট। এদিকে, বুধবার দুপুরে শেষ হয়েছে রায়হানের পরিবার ও বৃহত্তর আখালিয়াবাসীর দেওয়া ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম। তবে একই দাবিতে পুনরায় তিনদিনের নতুন কর্মসূচী দিয়েছে নিহত রায়হানের পরিবার। আকবরসহ হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় না আসায় ক্ষোভ রয়েছে জনমেন। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো.খালেদুজ্জামান জানান, তদন্তকালে যাদের না পাওয়া যাবে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মামলাটি স্পর্শকাতর, তাই সব বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। সেজন্য পিবিআই’র এর তদন্ত দল নানা বিষয় মাথায় রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রায়হান হত্যার ঘটনার পর থেকে পুলিশ লাইনে অভিযুক্ত ৬ পুলিশ সদস্যকে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে। তবে এসএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেছেন, হত্যা মামলাটির পুরো বিষয় তদন্ত করছে পিবিআই। আর তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশ। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এছাড়া সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে এসআই আকবর যেন দেশ ছাড়তে না পারে, সেজন্য পুলিশের নজরদারি রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, ১২ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত আকবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তখন পর্যন্ত তাকে বেশ চিন্তিত দেখা গেছে। এরপরই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তিনি। আকবর তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট এবং সরকারি সেট দুটোই ফাঁড়িতে রেখে গায়েব হয়ে যান। গা ঢাকা দিয়ে কোথায় আছেন, সেই হদিস কেউ দিতে পারছেন না। তার আগে সে খুনের সব আলামত নষ্ট করে দেয়। তবে ফাঁড়ির ইনচার্জ গা ঢাকা দিলেও অভিযুক্ত অন্য সদস্যদের পুলিশ লাইন্সে রাখা হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পুলিশের হেফাজতে থেকে পুলিশ সদস্যের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নাটকের একটি অংশ। এখন দেখুন, নিরাপত্তা কোথায় রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্ব আচরণ করেছেন পুলিশেরই সঙ্গেই। বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইন্সে নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হলেও এসআই আকবরকে তারাই পালাতে সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা পুলিশের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার অংশ। এদিকে, ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর তিন দিনের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রায়হানের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও এলাকার মুরুব্বিয়ান বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ পিবিআই কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তাদের রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস প্রদান করেন সিলেট পিবিআই’র এসপি খালেকুজ্জামান। পিবিআই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান সাংবাদিকদের বলেন, যদিও তদন্তকাজে ধীরগতি রয়েছে, তবু তাদের কাজ আমাদের কাছে পজিটিভ। কারণ- পিবিআই’র হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। এতে আমরা আশাবাদি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ