Sobujbangla.com | সব ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার পথে।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সব ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার পথে।

  |  ১৪:৫৫, অক্টোবর ০৩, ২০২০

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিন বছর আগে দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করা ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আট লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা এসেছে ২০১৭ সালের আগস্টের পরে। গত তিন বছরে মিয়ানমারের চরম অনাগ্রহের কারণে ওই রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে পারেনি। যদিও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯-এর আগস্টে দুই দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ার কারণে রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে অস্বীকৃতি জানায়। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মিয়ানমার এ বিষয়ে আরও অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে এবং এই রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ কী, সে বিষয়ে সবার সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রাখাইনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য মিয়ানমার কিছুই করছে না। শুধু তাই না, তারা ফেরত যাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের দায়বদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত শুনানির পরে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেছে। আবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবীরা আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। দুটি আন্তর্জাতিক আদালতেই বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেও অনেক গুরুতর। এ কারণে আন্তর্জাতিকভাবে এ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।. রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রত্যাবাসনের জন্য যাচাই-বাছাই করতে সরকার পাঁচ দফায় আট লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমার সরকারকে দিয়েছিল। প্রথম দফায় আট হাজার ৩২ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮৪ জনের। দ্বিতীয় দফার ২২ হাজার ৪৩২ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই হয়েছে মাত্র চার হাজার ৬৫০ জনের। অর্থাৎ সাড়ে আট লাখের মধ্যে ১০ হাজারেরও যাচাই বাছাই শেষ করেনি মিয়ানমার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটি এ সংক্রান্ত কমিটির চতুর্থ বৈঠক গত বছরের মে মাসে হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ আবার বৈঠকের জন্য ফেব্রুয়ারিতে তারিখ ঠিক করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও মিয়ানমার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও কিছু জানায়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ