Sobujbangla.com | কমলগঞ্জে ১৬ দোকান ও ১টি বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাঁই
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

কমলগঞ্জে ১৬ দোকান ও ১টি বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাঁই

  |  ১৯:৪১, আগস্ট ২৪, ২০২০

কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউপির বাসুদেবপুর এলাকার ঠাকুর বাজারে আগুনে ১৬টি দোকানঘর ও ১টি বসতবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। স্থানীয় একটি মুদির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানানো হয়।
সোমবার ভোরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল থেকে দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকান্ডে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মা মনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাইটিজ স্টোর, কে এম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্নিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, জুয়েল মিয়া’র বসত বাড়ি, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর ও নজরুল মিয়ার গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে, কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রায় ৩শতাধিক এলাকাবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দীর্ঘসময় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষুব্দ জনতা। পরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের আশ্বাসে উপজেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সুব্রত দেবরায় সঞ্জয়ের মধ্যস্থতায় এবং কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটিকে ছেড়ে দেয় বিক্ষুব্দ জনতা।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে এসে প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল কাদির জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তাদের পানি পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় কাজ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক জানান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। আগুনের সূত্রপাত ও ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান ইউএনও।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ