Sobujbangla.com | অবৈধ সম্পর্কের কারণে মেয়ের হাতেই মা খুন
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

অবৈধ সম্পর্কের কারণে মেয়ের হাতেই মা খুন

  |  ১৯:১২, আগস্ট ০৫, ২০২০

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ছলেমা হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দুলাভাইয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় মাকে গলাকেটে হত্যা করে মেয়ে ও জামাতা। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাকে ঘাতক মেয়ে ও জামাতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে দুই ঘাতক কর্তৃক হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি অনুযায়ী হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে মোগল মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক বছর পর জেসমিন আক্তার জিবিকার তাগিদে সৌদি আরব চলে যায়।
এ সুযোগে মোগল মিয়া তার শালিকা শান্তি বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একাধিকবার তারা দুইজন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এক সময় তাদের শারীরিক সম্পর্ক চলাকালে নিহত ছলেমা বেগম (মোগল মিয়ার শ্বাশুড়ি ও শান্তি বেগমের মা) দেখে ফেলেন।
এ সময় মেয়ে ও জামাতার মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে দুজনকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন, আর যাতে তারা কোনদিন অনৈতিক কাজ না করে । কিন্তু এরপরও তাদের অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে।
জানা যায়, ঘটনার দিন ঈদের রাতে তারা আবারও অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। ছলেমা বেগম তাদেরকে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় জামাতা মোগল মিয়া ও ছোট মেয়ে শান্তি বেগম মিলে ছলেমা বেগমের মুখ চেপে ধরে ঘরে থাকা দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোগল মিয়া নিজ ঘরে গিয়ে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে যান এবং শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করতে থাকেন। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তিনি জানান তার মাকে ডাকাতদল গলা কেটে হত্যা করেছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হিরন মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুই ঘাতকসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পরপরই নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের এসএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীর নের্তৃত্বে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতকদের আটক করেন। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় শিকার করে।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন করায় পুলিশ প্রশাসেন প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয় লোকজন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ