Sobujbangla.com | তাহিরপুরে বন্যায় সড়কে ব্যাপক ভাঙন, জনদুর্ভোগ চরমে
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

তাহিরপুরে বন্যায় সড়কে ব্যাপক ভাঙন, জনদুর্ভোগ চরমে

  |  ১৬:৩২, জুলাই ০৭, ২০২০

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় পাকা সড়ক, গ্রামীণ সড়ক ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে জেলা শহরের সাথে উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেক স্থানে ভাঙ্গনের কারণে ফেরি ও নৌকা দিয়ে পারাপারের মাধ্যমে জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে যাতায়াত চালু রাখা হয়েছে। জানা যায়, বন্যার পানি কমলেও জেলা সদরের সাথে স্বাভাবিক হয়নি সড়ক যোগাযোগ। সড়কে একাধিক স্থানে পানি, নৌকাযোগে কোনরকম পারাপার হচ্ছে মোটরবাইক ও লোকজন। সিএনজি, ট্রাক, ট্রলি, বাস কিংবা প্রাইভেটকার কোনটি আর চলছে না এ সড়কে। সিএনজি চালক ও লেগুনা চালকরা রয়েছেন বেকায়দায়। কবে সচল হবে এ সড়ক সহসা বলা যাচ্ছে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে যাতায়াতকারী তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৫ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে জেলা সদরের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। সড়কে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দুর্গাপুর (১শ মিটার) ও শক্তিয়ার খলাতে (২শ মিটার) স্থান দুটি অপেক্ষাকৃত নিচু। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য পানিতে সড়ক দুটি তলিয়ে যায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই কখনো ১০ দিন কখনো ১৫ দিন এ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। অপরদিকে আনোয়ারপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে ১শ মিটার এপ্রোচ এর কাজ ২০১৮ সালে থেকে এখনো সম্পন্ন করতে পারছে না ওই কাজের ঠিকাদার। ঠিকাদারের গাফিলতি ও এলজিইডির উদাসীনতায় গত দুবছর ধরে ওই স্থান দিয়ে পাহাড়ি ঢলে পানি প্রবাহে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। উপজেলার সচেতন মহল জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়ক পথে যে কাজ করে তার মান খুবই খারাপ। যার জন্য কাজ করার পরেই গর্ত ও ভেঙে যায় আর পাহাড়ি ঢলের চাপেও ভেঙে যায়। আর বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল ও পায়ে হেটে চলাচল করা কঠিন হয়ে পরে। পাহাড়ি ঢলের যাতে করে সড়ক ডুবে না যায় তার জন্য সময় উপযোগী সড়ক উঁচু করে ও সহজে সড়ক ভাঙ্গতেও না পারে তাই সঠিকভাবে সড়ক নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারি গ্রহণ করলে প্রতি বছরেই আমাদের দুর্ভোগ কমে যাবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ