Sobujbangla.com | শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পিছিয়ে না পড়ে, তাদের শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাপকভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পিছিয়ে না পড়ে, তাদের শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাপকভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

  |  ১৯:৩২, মে ৩১, ২০২০

করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনই উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে রোববার (৩১ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষার (এইচএসসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলাম। করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এখানে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী, পুরোপুরি গণপরিবহন চালু হতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। সেজন্য পরীক্ষাকেন্দ্র বহুগুণ বৃদ্ধি করতে হবে, তারপরও ঝুঁকি থেকে যাবে। সেটি কোনোভাবে নেওয়া সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। সে কারণে পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারছি না। যখনই মনে করব পরীক্ষা নেওয়ার পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তখনই আশা করি দু’সপ্তাহের সময় দিয়ে পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করবো।
পরিস্থিতি উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে জানিয়ে এই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত না হয় সেজন্য এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না।
শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এবং যদি আরো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে তার ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পিছিয়ে না পড়ে, তাদের শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাপকভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যখন খুলে দেওয়া হবে তার জন্য চেষ্টা থাকবে কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারি, তার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সংক্রমণ ঠেকাতে হবে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো অনেক সতর্কতার মধ্যে এবং সেগুলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল রাখতে মানুষের জীবিকার প্রয়োজনে। কাজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব সহসা খুলবার পরিস্থিতি এখনও নেই। যখন অনুকূল পরিস্থিতি হবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেব।
শিক্ষাবর্ষ কমবে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম আড়াই মাস ক্লাস করতে পেয়েছে। এ বছর কত সময় পার করতে পারবে তা কারো বলা সম্ভব না। হাফ ইয়ারলি (পরীক্ষা) করার সময় নেই। বার্ষিক পরীক্ষা হবে কি হবে না, কোনো সিলেবাসে হবে কতটুকু হবে, শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বরে শেষ হবে না আগামী বছরে নিয়ে সমন্বয় করা হবে; সবই বিবেচনা করা হবে। সব নির্ভর করবে মহামারি পরিস্থিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উপর।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ