করোনায় অবস্থা ভয়াবহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর
করোনায় প্রাণহানিতে এবার চীনকে ছাড়ালো ব্রাজিল। দেশটিতে দ্রুত অবনতি ঘটছে পরিস্থিতির। এ পর্যন্ত মারা গেছেন, ৫ হাজার ৬৩ জন। দক্ষিণ আমেরিকার অন্য দেশগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। এদিকে, চারদিনে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি বেড়েছে।
মার্চের মাঝামাঝিতে ব্রাজিলে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। দেড় মাস না পেরোতেই প্রাণহানিতে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। শঙ্কা রয়েছে, করোনাভাইরাসের পরবর্তী হটস্পট হতে যাচ্ছে ব্রাজিল।
অভিযোগ রয়েছে, ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্টের উদাসীনতায় এমন ভয়াবহ অবস্থা দেশটির। রয়েছে ত্রাণের তীব্র সংকট।
আমরা করোনার চেয়ে ক্ষুধাকে বেশি ভয় পাই। সরকারের অনীহায় এমন পরিস্থিত তৈরি হয়েছে।
শুধু ব্রাজিল নয়; গোটা দক্ষিণ আমেরিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দ্রুত। চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে পেরু আর আর্জেন্টিনায় বিক্ষোভে নেমেছেন চিকিৎসকরা। দেশ দুটির কারাগার গুলোতেও চলছে বিক্ষোভ। ইকুয়েডরের বাড়ি বাড়ি থেকে করোনা আক্রান্তদের মরদেহ উদ্ধার করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
মারিয়া নামে একজন বলছেন, ‘তিনদিন ধরে হাসপাতালে কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই। মাস্কসহ অন্য চিকিৎসা সামগ্রীরও অভাব। এভাবে মৃত্যু শুধু বাড়বেই।’
গ্রিতা কেব্রেরা নামে একজন বলছেন, ‘কারাগারের ভেতর কোন সুরক্ষা সামগ্রী নেই। গ্যাস, পানি, খাবারেও তীব্র সংকট। করোনার কারণে বাইরে থেকে খাবারও পাঠাতে পারছি না।
চারদিন নিম্নমুখি থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের বেড়েছে প্রাণহানি। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়েছে। ম্যাসাচুসেটসের একটি বৃদ্ধাশ্রম থেকে অন্তত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অ্যাঞ্জেলেসে প্রাণহানি হাজার ছাড়িয়েছে। মহামারির বিরুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে, ফিলাডেলফিয়ার আকাশে চলে সামরিক বাহিনীর বিশেষ মহড়া।
যুক্তরাজ্যের কেয়ার হোমে ব্যাপক প্রাণহানির পর দেশটির সব কেয়ার হোমে গণহারে করোনা টেস্টের কথা জানানো হয়েছে। আর বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি, চিকিৎসার অভাবে দেশটিতে মারা যেতে পারেন, অন্তত ১৮ হাজার ক্যান্সার রোগী।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে, চীন। আগামী ২২ মে বার্ষিক পার্লামেন্টারি সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। যেখানে সাধারণত পুরো দেশ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।