Sobujbangla.com | করুণায় কেড়ে নিল ডক্টর মঈনুদ্দিনের তাজা প্রাণ
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

করুণায় কেড়ে নিল ডক্টর মঈনুদ্দিনের তাজা প্রাণ

  |  ১৭:৪৯, এপ্রিল ১৫, ২০২০

করুণায় কেড়ে নিল তাজা প্রাণ ডক্টর মইনুদ্দিনকে শেষ সমাধি করা হলো, বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন মানবতাবাদী চিকিৎসক মঈন উদ্দীন
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়িতে পৌছে ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দীনের মরদেহ। প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, একটি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ সুনামগঞ্জের ছাতকের নিজ বাড়িতে পৌঁছে। আছর থেকেই উপজেলা প্রশাসনের লোকজন বাড়িতে অবস্থান নেন। ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দীনের কিছু সহকর্মী পিপিই পড়ে বাড়িতে ছুটে যান। এর আগে ঢাকায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পক্ষ থেকে ডা. মঈন উদ্দিনকে গোসল দেয়া এবং মরদেহে কাফন পরানো হয় বলেও জানা গেছে। ওই চিকিৎসকের লাশ ঢাকায় দাফনের সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হলেও পরিবারের ইচ্ছায় সিদ্বান্ত পরিবর্তন হয়ে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার সাথে কবরস্থানে পাশে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। একটু দূর থেকে বাড়িতে উপস্থিত ১০/১৫ জন স্বজন জানাযায় অংশ নেন। এ ছাড়া মরহুম মোঃ মঈন উদ্দীনের ৬ জন স্বজনকে পিপিই পড়িয়ে দাফন কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। তবে শর্ত দেয়া হয় তাদের ১৪ দিনের কোয়ারাইন্টাইনে থাকতে হবে। বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দীন। ডা. মঈন উদ্দীনের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নাদামপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে চিরবিদায় নিলেন তিনি। ডা. মঈনের স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। সিলেটের হাউজিং এস্টেট এলাকায় তাদের বাসা। গত ৫ এপ্রিল সিলেটে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রথম আক্রান্ত রোগী হিসেবে এই চিকিৎসককে সনাক্ত করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাসা থেকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলেও পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়। পরদিন ৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেখানেই ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার ভোরে ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দীন ইন্তেকাল করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ