Sobujbangla.com | বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সীমাবদ্ধ ছিলো না বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে তার কণ্ঠ ছিলো সব সময় সোচ্চার।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সীমাবদ্ধ ছিলো না বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে তার কণ্ঠ ছিলো সব সময় সোচ্চার।

  |  ২১:০১, মার্চ ১৬, ২০২০

বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সীমাবদ্ধ ছিলো না। বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে তার কণ্ঠ ছিলো সব সময় সোচ্চার। বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতিসংঘের প্রথম ভাষণেই বঙ্গবন্ধু তার অবস্থান তুলে ধরেন।
১৯৭৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ। ওই বছরই ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
এই ভাষণে তিনি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে তার অবস্থানের কথা উচ্চ কণ্ঠে তুলে ধরেন। ভাষণের একদিকে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমস্যা, সঙ্কট, নিপীড়ন নির্যাতনের কথা বলেন। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের উপায়ও বাতলে দেন বিশ্ববাসীর সামনে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ যে শুধু বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো না এটি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের সংগ্রামের প্রতীক সেটাও বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিব। জাতিসংঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি জানি, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এই অঙ্গীকারের সঙ্গে শহীদদের বিদেহী আত্মাও মিলিত হইবেন। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম হইতেছে সার্বিক অর্থে শান্তি এবং ন্যায়ের সংগ্রাম আর সেই জন্যই জন্মলগ্ন হইতেই বাংলাদেশ বিশ্বের নিপীড়িত জনতার পার্শ্বে দাঁড়াইয়া আসিতেছে।’  ‘জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরে এই ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা হইতে দেখা যায় যে, এইসব নীতিমালার বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কী তীব্র সংগ্রাম চালাইয়া যাইতে হইতেছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার লক্ষ লক্ষ বীর যোদ্ধার চরম আত্মদানের মাধ্যমে শুধুমাত্র জাতিসংঘ সনদ স্বীকৃত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার পুনরুদ্ধার সম্ভব।’ ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতিগত বৈষম্য, বর্ণবৈষম্য, ভূ-খণ্ড দখল ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার অবস্থান তুলে ধরেন। জাতির পিতা শেখ মুজিব বলেন, ‘আগ্রাসনের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ভূ-খণ্ড দখল, জনগণের অধিকার হরণের জন্য সেনাবাহিনী ব্যবহার এবং জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এখনো অব্যাহত রহিয়াছে। আলজিরিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং গিনি-বিসাউ এই সংগ্রামে বিরাট বিজয় অর্জন করিয়াছে। চূড়ান্ত বিজয়ে ইতিহাস যে জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষেই যায়, এইসব বিজয় এই কথাই প্রমাণ করিয়াছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ