শুদ্ধি অভিযান সঠিক রাখতে ২৯ ডিসেম্বর রাতের ভোট দুর্নীতির বিচার করতে হবে’

ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দানবে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীতে এক সভায় এমন মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় বিএনপি নেতারা বলেন, শুদ্ধি অভিযান সঠিক রাখতে ২৯ ডিসেম্বর রাতের ভোট দুর্নীতির বিচার করতে হবে।
বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয় স্মরণ সভার। দেশের জন্য এম কে আনোয়ারের নানা অবদানের কথার পাশাপাশি নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু।
বিএনপি নেতারা বলেন, বড় বড় দুর্নীতি আড়াল করতেই ধরা হচ্ছে চুনোপুটিদের। তারা সমালোচনা করেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘উন্নয়নের রোল মডেল নয়, স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট সরকারের রোল মডেল হচ্ছে এই সরকার। দুর্নীতির রোল মডেল হচ্ছে এই সরকার।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযান যদি সঠিক ভাবে হয়, শুদ্ধভাবে হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী নিজেও নিরাপদ না। তার মন্ত্রীসভার কেউ নিরাপদ না। তার সো-কলড পার্লামেন্টে যারা আছে তারাও নিরাপদ না। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিকে চুরি করেছে, এর চেয়ে বড় দুর্নীতিতো আর পৃথিবীর কোণ দেশে নাই।’
আবরার হত্যার বিচার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী মানবন্ধন ও রক্ত দিয়ে স্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে ঐক্যফ্রন্ট। এতে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান জানান, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের পরিধি আরো বাড়বে।
আসম আব্দুর রব বলেন, ‘নাটক দেখাইয়া লাভ নাই। যারা অভিযান চালাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য কি জানিনা। এই ওয়ার্ড কমিশনার ধরে লাভ নাই। রুই-কাতলা যারা আছে তাদের নাম পরিষ্কার করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের মানববন্ধনে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের কাছে এখন আর এ দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আপনাদের কাছে আবরার নিরাপদ নয়। আপনাদের কাছে তনু-তিশা-নুসরাত নিরাপদ নয়। ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপলরা নিরাপদ নয়, কখন যে আপনাদের পান্ডারা হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেব। অতএব বাঁচতে চাই মানে, অবিলম্বে আপনাদের পদত্যাগ চাই।
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।