সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেই হত্যা করা হচ্ছে ভিন্নমত পোষণকারীদের।

সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই বলে ভিন্নমত পোষণকারীদের হত্যা করা হচ্ছে। আবরার হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কয়েকজন সাবেক নেতা।
মানববন্ধনে আ স ম আব্দুর রব বলেন, সরকারের এজেন্ডা হচ্ছে, বিরোধী মতকে কথা বলতে দেবে না। আবরার হত্যার সরকার সঠিক বিচার করবে বলে মনে করেন না তিনি।
তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চান অথচ ছাত্ররাজনীতি না থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না। ছাত্ররাজনীতি কেউ বন্ধ করতে পারেনি, কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এত বড় সংকটের মুখোমুখি কখনো হয়নি। এই হত্যাকে এখন চাকরির উপর চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ। সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল যে এরকম একটা খুনি ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। কিন্তু সরকার বলতে চাচ্ছে ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ করা হোক এটা হচ্ছে মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা।
মান্না আরও বলেন, ১১ বছর ধরে ধরে কি অবস্থা তৈরি করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। সরকার নিজেরা ছাত্র হত্যা করে; সেই সরকারকে জনগণ চায় না।
ডাকসুর সাবেক এ নেতা বলেন, কার নির্দেশে এ হত্যা হয়েছে তাদেরও ধরতে হবে। বড় বড় লুটেরাদের জামিন দিয়েছেন অথচ বেগম জিয়াকে জামিন দিচ্ছেন না এত বড় অন্যায় জনগণ মেনে নেবে না। সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। ২২ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে সভায় সবাইকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, সরকারের ফাঁদে মানুষ নিরাপদ নয়। ছাত্রদেরও পারছে না নিরাপত্তা দিতে। হত্যা করা হচ্ছে সরকারের নির্দেশে। সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেই হত্যা করা হচ্ছে ভিন্নমত পোষণকারীদের।
আমান আরও বলেন, গণতন্ত্রকে ফেরাতে হলে এবং আবরার ফাহাদ হত্যার সুষ্ঠু বিচার পেতে হলে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বলেন, প্রশাসনে আবরার ফাহাদের মা-বাবাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন যার কারণে বিএনপি’র প্রতিনিধি দলকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। যাতে কেউ মুখ খুলতে না পারেন।