দুর্যোগ মোকাবিলায় সব বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট যেকোনো দুর্যোগে, বাংলাদেশ প্রস্তুত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। অনুষ্ঠানে একশোটি আশ্রয়কেন্দ্র এবং সাড়ে ১১ হাজার দুর্যোগ সহনশীল বাড়ি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যার আধিক্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিপদাপন্ন দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতি বছরই বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে হুমকির মুখে পড়ে জীবন ও জীবিকা। বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭১টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১৩-ই অক্টোবর পালন করা হয়, আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারা দেশে ১১ হাজার ৬০৪ টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১০০ টি বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কৃত করেন ৮২ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবককে।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। গুরুত্ব দেন দুর্যোগ মোকাবেলায় জনসচনতার। তিনি বলেন, শুধু উন্নয়নে না প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়ও বাংলাদেশ এখন সম্মান পেয়েছে। আমরা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতা স্বাধিনতা দিয়ে গেছেন, তাঁর একটা স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। আমারা সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত থাকবে এমনটাই আশা শেখ হাসিনার। তিনি বলেন, যেকোন মনুষ্য সৃষ্ট দূর্যোগ আসুক আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসুক সব ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলার জন্যে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত থাকবে সেটাই আমি চাই। এবং আমাদের ভলান্টিয়াররাও নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবে সেটাই আমি আশা পোষণ করি।
কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের খাদ্য দিয়েই দুর্যোগ মোকাবেলার কথাও জানান, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 