রাষ্ট্রায়ত্ত ৬৮ প্রতিষ্ঠানের হাতে বাড়তি জমা ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা
সরকারি-আধা সরকারি ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয় মেটানোর পর, যার বাড়তি অংশ এখন থেকে জমা দিতে হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।
লাভ-লোকসানের হিসাব করতে গেলে সরকারি-আধা সরকারিসহ রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লোকসানের পাল্টাটাই যেন বেশি। তবে আশ্চার্যজনক হলেও সত্য যে, এমন ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের হাতেই এই মুহূর্তে বাড়তি জমা আছে ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর আমানত রেখে মোটা অংকের আয় দেখিয়ে আসছে এসব প্রতিষ্ঠান।
তবে এমন সুযোগ আর থাকছে না, এখন থেকে পরিচালন ব্যায় মেটানোর পর বাড়তি টাকা ফেরত দিতে হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।
সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, মোট ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশি জমা টাকা আছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কাছে জমা আছে ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলার কাছে ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছে আছে ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জমা টাকার পরিমাণ ৯ হাজার ৯১৩ কোটি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জমা টাকা আছে ৪ হাজার ৩০ কোটি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এই সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয়ের টাকা তাদের নিজস্ব তহবিলে থাকবে। তারপর আপদকালীন ব্যয়ের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও রাখা যাবে। এরপর যে টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে, সেটি সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়া হবে।
এছাড়াও বৈঠকে বেশ কিছু সংশোধনী এনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে বিআরটিসিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে এর সরকারি-বেসরকারি মালিকানার হার ও সংশোধিত পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। মুলধনে সরকারি শেয়ারের পরিমাণ থাকবে ৫১ শতাংশ এবং বেসরকারি শেয়ার থাকবে ৪৯ শতাংশ। পুঁজিবাজারে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 