Sobujbangla.com | সিলেটে মেয়েকে ধর্ষণ করলো বাবা, গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তি
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সিলেটে মেয়েকে ধর্ষণ করলো বাবা, গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তি

  |  ১৬:০১, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯

সিলেটের ওসমানীনগরে বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানির পর বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শিশুটির চাচী। পুলিশ জানায়, একদিন পর গ্রেপ্তার হলে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছেন মাসুক মিয়া।
সিলেটের ওসমানী নগরের দয়ামারী এলাকায় এই বাড়িটিতেই চার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন মাসুক মিয়া। প্রায় ৬ বছর আগে ৪ কন্যা সন্তান রেখে স্ত্রী মারা গেলে সন্তানদের শেষ ভরসাস্থল ছিল তাদের বাবা।
বড় মেয়ে সহ অন্য দুই মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করতো। ছুটি পেলেই চলে আসতো বাবার কাছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মাদ্রাসা থেকে ফিরে এসে রাতে ঘুমানোর জন্য মেয়েটি তার বাবার সাথে থাকতে অসম্মতি জানায়। কারণ জানতে চাইলে, বর্ণনা শুনে হতবাক হয়ে যান তার চাচী। পরে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তোভোগীর চাচী সুরেতুন বেগম বলেন, ‘মেয়েটি শুক্রবার আমাকে জানায় যে তার বাবা তার সাথে। পরে আমি থানায় মামলা করি।
পুলিশের কাছে অভিযোগের পর পরই পালিয়ে যায় নির্যাতিতা মেয়েটির জন্মদাতা পিতা। যদিও ঐদিন রাতেই সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পাষণ্ডরুপি পিতাকে।
এলাকাবাসী জানায়, সে যে কাজ করছে তা আমরা এই দুনিয়ায় কোনদিন শুনি নাই। এই লোকটার ফাঁসি চাই আমরা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের বিষয়টি শিকার করেছে বলেও জানায় পুলিশ।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম মামুন জানান, মেয়েটি মাদ্রাসায় পড়ত। মেয়েটি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসলে তার বাবা তাকে কুপ্রস্তাব দিত। ওইরাতে মেয়েটির বাবা এনার্জির ওষুধ বলে ঘুমের ট্যাবলেই খাইয়েছে। পরে ঘুমিয়ে গেলে পরে তাকে ধর্ষণ করে। পরের দিন ঘুম ত্থেকে উঠে মেয়েটি রক্ত দেখতে পায়। তার বাবা কাউকে না বলার জন্য তাকে ভয় দেখায়। প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের বিষয়টি শিকার করেছে। পরে আমরা মামলা করেছি।
নির্যাতনের স্বীকার মেয়েটি সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে চিকিৎসাধীন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ