Sobujbangla.com | বিএনপির প্রয়োজন এখন সবচেয়ে বেশি: মির্জা ফখরুল
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

বিএনপির প্রয়োজন এখন সবচেয়ে বেশি: মির্জা ফখরুল

  |  ১৬:০৯, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,আওয়ামী লীগ সবদিকে থেকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সেই জন্যই এখন বিএনপির প্রয়োজনীতা সব থেকে বেশি।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে , বিএনপি নাকি রোহিঙ্গাদের যেতে বাধা দিচ্ছে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা অন্যের ওপর চাপাচ্ছে। তারা ব্যর্থ হয়েছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু ৭৮ সালে জিয়াউর রহমান আর পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমারে পাঠিয়েছে। আজকে দুই বছর চলে গেছে, দুইবার চেষ্টা করেও সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের নিজ দেশে পাঠাতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় গলায় বলে থাকে চীনের সঙ্গে তাদের সুউচ্চ বন্ধুত্ব রয়েছে। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর। তাহলে কেন তারা চীন ও ভারতকে বোঝাতে পারছে না, রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ও সমাজে কতবড় বোঝা? মানবিক কারণে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো জরুরি, সেটা কেন বোঝাতে পারছে না? আসলে তারা ব্যর্থ।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি গতকাল খোঁজ নিয়েছিলাম, তিনি হাঁটতে পারছে না। তার ব্লাড প্রেসার ও সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। কিন্তু এ অবস্থায় তিনি মাথা নত করছেন না।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আজ আমরা এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শপথ নেই, আমরা বিএনপিকে সুসংহত করব। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় তারেক রহমান সাহেব, তার অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে দলকে ইতোমধ্যে সুসংগঠিত করবার কাজ শুরু করেছেন।
আমরা বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের দল সম্পূর্ণভাবে সংগঠিত হবে এবং জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই এ দানব, এ ফ্যাসিস্ট সরকার, যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে তাদেরকে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। আসুন আমরা শপথ নেই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করে তবেই আমরা ঘরে ফিরব, তবেই আমরা সমস্ত কাজ করতে সক্ষম হব।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডির আসম আব্দুর রব, গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসহাক।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ