বিনোদন স্পটে পর্যটকের ঢল
সিলেটকে বলা হয় আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী। আবার দেশী-বিদেশী অনেকের কাছে ‘চায়ের দেশ’ হিসাবে পরিচিত। যে যাই বলুক পুরো সিলেট হলো প্রকৃতির রূপ-লাবণ্যে আর সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানকার পর্যটন স্পটগুলো যেন আপন সাজে সেজেছে। তাই বরাবরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ঢল নেমেছে সিলেটে। তাই আধ্যাত্মিক এই নগরীর প্রায় সবকটি হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। তাই দেখা দিয়েছে রুম সংকট।
ঈদের দিন পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকলেও ঈদের পরদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিনোদন প্রেমী ও পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো সরব। শিশু থেকে শুরু করে বুড়োরাও ভিড় করছেন নগরী, শহরতলী ও সিলেট বিভাগের সবকটি পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। বিভিন্ন বয়সী আগত পর্যটক দর্শনার্থীদের হৈ-হুল্লুড়ে মুখরিত এলাকাগুলো।
বৃহস্পতিবার পুরোদিন বৈরী আহবাওয়া ও সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা করা গেছে। একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে শুক্রবার সকাল থেকেও। বিনোদন প্রেমীরা ছুটে গিয়েছিলেন প্রকৃতিকন্যা জাফলং, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে। তবে এবার বৈরী আহবাওয়ার কারণে অনেকেই সিলেটের বাইরে বের হননি। তারা শহরে জীবনে ঈদের আনন্দ কাটিয়েছেন।
নগরীতে বিনোদনের তেমন স্থান নেই। রয়েছে বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান নামে একটি শিশুপার্ক। শিশুপার্কে ঈদের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। ভিড় যেনো উপচে পড়ছিলো। শুধু শিশুরাই নয়, সব বয়েসী মানুষেরা ভিড় জমিয়েছিলেন এই শিশুপার্কে। গত মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পরিবার-পরিজন নিয়ে ওসমানী শিশু উদ্যান, ড্রিমল্যান্ড, টিলাগড় ইকোপার্ক, অ্যাডভেঞ্জার ওয়ার্ল্ড বিনোদন কেন্দ্রে সময় কাটাতে ছুটে এসেছেন বিনোদনপ্রেমীরা। শিশুপার্ক হচ্ছে শিশুদের বিনোদন। কিন্তুু দেখা গেছে শিশু থেকে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। এছাড়া শিশুদের উপস্থিতির তুলনায় এই পার্কে রাইডের সংখ্যা কম, তাই একেকটি রাইডে উঠার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় শিশুদের। তারপরও শিশুদের চোখে মুখে ছিলো আনন্দ। সেই সঙ্গে বড়রাও ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে ছবি ও সেলফি তোলায়।
শহরের তরুণ-তরুণীদের জন্য বিনোদনের জায়গা হচ্ছে সিলেটের সুরমার উপর স্থাপিত কাজিরবাজার ব্রিজ ও ক্বিন ব্রিজের নীচের সার্কিট হাউজ এলাকা। সন্ধ্যা নামলেই সেগুলোতে পা ফেলার জায়গা থাকে না। কাজির বাজার ব্রিজে সব বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিকেলে মুক্ত বাতাসে বেড়ানোর স্বাদ পেতে শহরের মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছেন এসব এলাকায়। তরুণ-তরুণীদের কাছে এই ব্রিজটি সেলফি ব্রিজ হিসেবে পরিচিত। এর কারণ সন্ধ্যার পর ব্রিজের উপর সোডিয়াম বাতির আলো জ্বলে উঠে। আর এই আলোর খেলায় বর্ণিল হয়ে উঠে গোটা ব্রিজ এলাকা। বর্ণিল আলোর বাহারে সেলফিতে মেতে উঠেন তরুণ-তরুণীসহ ব্রিজে আসা মানুষ।
এর বাইরে সিলেট শহরের পাশেই রয়েছে ড্রিমল্যান্ড পার্ক, এডভেঞ্চার ওয়ার্র্ল্ড, পর্যটন মোটেল, আলুর তল ইকোপার্ক, শাহী ঈদগাহ, এমসি কলেজসহ কয়েকটি এলাকা। এসব এলাকায় উপচে পড়ছেন দর্শনার্থীরা।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 