ছেলেধরার গুজবে বাড়ছে নৃশংসতা, দুদিনে নিহত ৫

স্রেফ সন্দেহের বশে খুন হতে হলো ২ সন্তানের মাকে। তাও আবার ছেলেধরার গুজবে। যে মা স্কুলে গিয়েছিলেন সন্তানের ভর্তির খোঁজ নিতে। গুজবের বশে এমন নৃশংসতায় রাজধানীসহ সারা দেশে গেলো দুদিনে প্রাণ গেছে ৫ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষা আর সুশাসনের অভাবেই ছড়াচ্ছে এমন ভয়াবহতা। আর পুলিশ সদর দপ্তরের হুঁশিয়ারি, এমন ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
এ এক ভয়াবহ নৃশংসতা। রাজধানীর বাড্ডায় চোখের সামনে শুধু গুজবে কান দিয়ে এভাবেই পিটিয়ে হত্যা করা হলো তাসলিমা রেনুকে। এক হতভাগ্য মাকে।
মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজে দেখা যায় একদল যুবক মর্মান্তিক ভাবে পিটিয়ে হত্যা করছে তাসলিমা জাহান রেনুকে। এদের মধ্যে সামনের সারিতে থাকা লাল ও সবুজ পোশাকের দুজন আঘাত করেছে বেশি।
সবুজ পোশাক পড়া যুবকটি এলাকায় ভ্যানে সবজি বিক্রি করতো এমন কথা বলেছেন অনেকেই। তবে ক্যামেরার সামনে নয়। আর ঘটনার পরদিন দেখা মেলেনি সবজি ভ্যানটির।
আর ক্যামেরার সামনে সবাইকে দেখা গেছে মুখ লুকাতে।
চোখের সামনে ঘটে যাওয়া সেই বিভৎসতার ঘোর থেকে এখনও বের হতে পারছেন না স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা।
একদল মানুষের এমন নৃশংশতায় সবাই ছিলো অসহায়।
এ ঘটনায় ৫শ জনের বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা হয়েছে বাড্ডা থানায়। ডিসি মিডিয়ার দাবী, ভিডিও ফুটেজ দেখা সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আইনের নিক্রিয়তা নৃশংসতার এমন ঘটনার ইন্ধন যোগায় বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক।
রাজধানীর প্রতিটি থানায় গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।