২৮ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন বাতিল করেছেন আদালত।
জেলার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলায় বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন বাতিল করেছেন আদালত।
রোববার স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সাফাই সাক্ষী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আসামিপক্ষ কোনও সাফাই সাক্ষী হাজির না করে সময় প্রার্থনা করে আবেদন জানান। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী সময়ের আবেদন বাতিল করে সোমবার সকাল ১০টায় এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুরুর দিন ধার্য এবং হাজির হওয়া ২৮ আসামির জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠান। যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অন্যতম আসামি পৌর বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
হাজতে পাঠানো আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- এ কে এম আক্তারুজ্জমান আকতার ও সাহাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান শাহীন প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে রেলপথে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের মূহুর্তে অতর্কিতে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়। স্টেশনে ট্রেনবহর যাত্রা বিরতি করলে আবারও হামলা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীণ ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুন করে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 