Sobujbangla.com | আইপি ক্যামেরার আওতায় আসছে আধ্যাতিক রাজধানী সিলেট
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

আইপি ক্যামেরার আওতায় আসছে আধ্যাতিক রাজধানী সিলেট

  |  ১৭:৫৪, জুন ২১, ২০১৯

তথ্য প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পন্ন হচ্ছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। অপরাধী নিয়ন্ত্রণে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় বসানো হচ্ছে ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার দ্বারা অপরাধে জড়িত কোনো যানবাহন ও অপরাধীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় বসানো ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাজ পরিদর্শন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক।
এসময় তিনি নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে আরো সক্রিয় হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার দেশকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে কাজ করে যাচ্ছে। ছিনতাই, চুরি, রাহাজানি, খুন এসব অপরাধ ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল সিটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অপরাধ কমে আসবে, সাধারণ নাগরিক আরো সুন্দর ও নিরাপত্তা নিয়ে জীবনযাপন করতে পারবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) কামরুল আমিন, উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ডিসি ফয়সাল মাহমুদ, কোতোয়ালী মডেল থানার এসি ইসমাইল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া, প্রকল্প পরিচালক মহিদুর রহমান, উপ প্রকল্প পরিচালক মুধুসুদন চন্দ্র, স্থানীয় পার্টনার গ্লোবাল ট্রেড করপোরেশনের সিইও মছনুল করিম চৌধুরী ও তানজিমুল ইসলাম এবং হুয়াওয়ে চায়নার প্রতিনিধিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় উদ্যোগে ও চীনের হুয়াওয়ে কোম্পানির সহায়তায় ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় ১১০টি আইপি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে অপরাধীর ছবি চিহ্নিত করতে সক্ষম এসব ক্যামেরা।
পর্যায়ক্রমে নগরের জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, কোর্ট পয়েন্ট, ক্বিন ব্রিজের দুই প্রান্ত, কদমতলী, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা, শাহপরান (রহ.) মাজার এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইপি ক্যামেরা বসানো হবে।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ডিজিটাল সিটি প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো মহানগর এলাকায় আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। এর নিয়ন্ত্রণ করতে এসএমপি পুলিশ। ক্যামেরা সার্ভারে থাকা অপরাধীর তথ্য ছবি দিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে। এসব আইপি ক্যামেরা দিন-রাত সবসময় কাজ করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, আইপি ক্যামেরার শক্তিশালী সার্ভারে এসএমপির তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ছবি ও তথ্য দেওয়া থাকবে। নগরীর কোথাও আইপি ক্যামেরায় ওই অপরাধীর চলাফেলা করলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সংকেত আসবে। তখন অপরাধীকে পাকড়াও করতে পারবে পুলিশ। এছাড়া যে কোনো যানবাহনের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
গ্লোবাল ট্রেড করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মছনুল করিম চৌধুরী বলেন, এরইমধ্যে এসএমপি এলাকায় ১১টি আইপি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আইপি ক্যামেরাগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ