Sobujbangla.com | তিন শর্তে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ক্ষমা
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

তিন শর্তে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ক্ষমা

  |  ১১:৫০, জুন ১৬, ২০১৯

নিম্নমানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে না সরানোর কারণে তিন শর্তে ক্ষমা করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হককে।
আজ রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মাহফুজুল হকের ক্ষমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
শর্ত তিনটি হলো—মানহীন পণ্য দ্রুত বাজার থেকে সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়মিত বাজার মনিটর, ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করবেন না।
আদালত আদেশে ভোক্তাদের অভিযোগের জন্য হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটর করে এ বিষয়ে আগামী ১৯ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই দিন এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। এর আগে আদালত অবমাননার ঘটনায় সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক।
এদিকে আজকে হাইকোর্টে বিএসটিআইর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ৫২টি পণ্যের মধ্যে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় ২৬টি উত্তীর্ণ হয়েছে। ১৬টি অকৃতকার্য হয়েছে আর আটটি প্রতিষ্ঠান পুনঃপরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ মে বিএসটিআইর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামীদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে না সরানোয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলও জারি করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিএসটিআই ৪০৬টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ৩১৩টির মধ্যে ৫২টি পণ্য মানহীন বলে প্রতিবেদন দেয় বিএসটিআই।
৫২ পণ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের আদেশ সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত তা আমলে নেওয়ার মতো কোনো যুক্তি খুঁজে পাননি।
৫২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেউ যদি তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পুনরায় টেস্ট করাতে চায়, তাহলে ১৩ জুনের মধ্যে তাদের পণ্য টেস্ট করতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১২ মে হাইকোর্ট বাজার থেকে আইনানুসারে এসব পণ্য সরিয়ে নিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ