Sobujbangla.com | ফের জঙ্গি হামলার হুমকি অনুভব করছি: ডিএমপি কমিশনার
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ফের জঙ্গি হামলার হুমকি অনুভব করছি: ডিএমপি কমিশনার

  |  ১৭:৪১, জুন ১৫, ২০১৯

রাজধানীর ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ভাটা পড়ায় ফের জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদী হামলার হুমকি অনুভব করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
কমিশনার বলেন, ‘সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিআইএমএস) মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ইদানীং আমরা লক্ষ করছি, তথ্য সংগ্রহের কাজটি ঢিলা হয়ে গেছে। অনেক ভাড়াটিয়া বা নাগরিকরা এখন তথ্য দিচ্ছে না। আমাদের পুলিশের মধ্যেও একটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করছি। যে কারণে ইদানীং আমরা আবার সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের একটি হুমকি অনুভব করছি। এই প্রেক্ষাপটে কাজটি আমরা আবার শুরু করেছি।
এসময় শুক্রবার থেকে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত তথ্য না দেওয়া ভাড়াটিয়াদের পুনরায় তথ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেন তিনি। বলেন, এতে বাড়ি ভাড়া করে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা ঢাকায় আশ্রয় নিতে পারবে না। এদিন বেলা ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ-২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ডিএমপির প্রত্যেকটি থানার যে সাত-আটটি করে বিট রয়েছে, সেই বিটভিত্তিক কাজগুলো আমরা ভাগ করে দেব। যে বিটে আট-দশজন পুলিশ দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন তারা ওই এলাকায় প্রত্যেকটি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করবেন। সবার সঙ্গে কথা বলে যারা এই ফরম জমা দেয়নি তাদেরকে ফরম সরবরাহ করবেন এবং তথ্য নিয়ে এসে আমাদের সিস্টেমে সংযুক্ত করবেন।
নগরবাসীকে তথ্য দিতে অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনার তথ্য পুলিশের কাছে জমা দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন, নিজে নিরাপদ থাকুন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখুন। পুলিশ ও নাগরিকদের যৌথ অংশীদারির ভিত্তিতে টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।
তিনি জানান, এরই মধ্যে নন-অফিশিয়ালি আমরা ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে নাগরিকদের তথ্য ফরম সংগ্রহের কাজ শুরু করি। আর অফিশিয়ালি এই কাজটি আমরা শুরু ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে। আমরা ২২ লাখ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করেছি। যেখানে প্রায় ৬৩ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এই তথ্য ফরমগুলো সংগ্রহ করে আমরা একটি অত্যন্ত কার্যকর সফটওয়্যার তৈরি করি, যেটির নাম ‘সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস’।
‘এই সিস্টেমে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি ইউনিক ইনডেক্স নম্বর দেওয়া হয়েছে। ওই নাগরিক যদি এক থানা থেকে অন্য থানা এলাকায় বাসা বদল করে তাহলে ইনডেক্স নম্বর ট্র্যাকিং করে আমরা তার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারব। এ ছাড়া সে অতীতে যেসব বাসায় ছিল সেই তথ্য আমরা জানতে পারব এবং এই পরিবারের সদস্য কারা, পেশা কী কিংবা বয়স কি, তা আমরা জানতে পারব।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, ‘শুধু জঙ্গি অপতৎপরতা নয়, এসব তথ্যের সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহের ফলে আমরা অনেক হত্যাকাণ্ড, ডাকাতি এবং অপহরণ উদঘাটন করতে পেরেছি এবং আমাদের অপরাধ উদঘাটনের পারসেন্টটেন্স শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি। এটির কারণ নাগরিক ডাটাবেজের তথ্য এবং ডিজিটাল তথ্য মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহার করা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ