Sobujbangla.com | কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর

  |  ২০:২৯, এপ্রিল ১৫, ২০১৯

সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে এ দুই উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। উপড়ে গেছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ লাইন। আহত হয়েছেন বোয়ালজুড় ইউনিয়নের মুকবেলপুর গ্রামের একজন।
সোমবার সকালে কালবৈশাখীর তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর, অসংখ্য গাছ পালা ও বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা আটকা পড়েন ধান ক্ষেতে। ঝড়ের তান্ডবে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে, বিভিন্ন লাইনে গাছ ভেঙ্গে ঝুলে পড়ে।
ওসমানীনগর উপজেলা সুত্রে জানা গেছে, ৮ ইউনিয়নের ৫৭টি গ্রাম ও ২৮ কিলোমিটার এলাকা ঝড়ের তান্ডবে আক্রান্ত হয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৭৮টি ঘরবাড়ি এবং ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ১টি মসজিদ ও ১টি ইউনিয়ন পরিষদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমরা তালিকা তৈরী করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।
এদিকে সিলেট-১ পল্লী বিদ্যুৎ কাশিকাপন জোনাল অফিসের ডিজিএম ফাইজুল্লা জানান, পল্লী বিদ্যুতের ১৬টি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে গেছে। ৯টি ফিডারের মধ্যে ৬নং ফিডার চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো চালু করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক বলেন, ঝড়ের কারণে আমার ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়ন ভবনের টিনের চালও উড়ে গেছে।
উমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ১৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৬টি ঘর। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা উর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ