Sobujbangla.com | জেল থেকেই নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ সিরাজের, ২ মেয়েসহ জড়িত ১৩
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

জেল থেকেই নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ সিরাজের, ২ মেয়েসহ জড়িত ১৩

  |  ১৯:৪০, এপ্রিল ১৩, ২০১৯

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে জেল থেকেই পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা। এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে ২ মেয়ে শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় পিবিআই।
ডিআইজি বলেন, সোনাগাজী মাদ্রাসারপশ্চিম হোস্টেলে ছিল নূরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, হাফেজ আবদুল কাদেরসহ পাঁচজন। ৫ এপ্রিল তারা সেখানে বসে পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নেয় রাফিকে পুড়িয়ে মারার।
পিবিআই ডিআইজি বলেন, এই সিদ্ধান্ত তারা নেয় দু’টি কারণে। প্রথমত, মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ আলেম সমাজকে হেয় করেছে নুসরাত। দ্বিতীয়ত, শাহাদাত দফায় দফায় প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে রাফিকে। কিন্তু রাফি শামীমের সেই প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণে রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার প্রথম প্রস্তাবটি দেয় শামীম।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনার বিষয়টি পরে আরও পাঁচজনের সঙ্গে শেয়ার করে তারা। তাদের মধ্যে দু’জন মেয়ে আছে, যার ওই মাদ্রাসারই ছাত্রী। সেই দুই মেয়ের একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনটা বোরকা ও কেরোসিন আনার জন্য। পরিকল্পনা অনুসারে, মেয়েটি বোরকা ও কেরোসিন সরবরাহ করে শামীমের কাছে। এরপরই তারা ৬ এপ্রিল পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাফির শরীরে আগুন দেয়।
পালিয়ে বেড়ানো নুসরাত হত্যা মামলার আসামিরা একের এক পর এক ধরা পড়ছে পিবিআইয়ের জালে। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় গ্রেপ্তার হয় মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানান, এ হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। যাতে জড়িত তিনছাত্রী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষ। সকালে আসাদগেট ও রাজউকের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবার বিচার দাবি করেছেন, নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সপ্তাহ পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।
নুসরাত হত্যাকারীদের সাজা ও ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিএফডিসির সামনে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকাই সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীরা। এছাড়া নোয়াখালী, ফরিদপুর, সুনামগঞ্জ, দিনাজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।
গেল ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ১১ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ