Sobujbangla.com | কিশোরগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সোহেল
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

কিশোরগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সোহেল

  |  ১৬:৫১, এপ্রিল ০৯, ২০১৯

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন, বনানীর আগুনের ঘটনায় উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এরআগে রাজধানীতে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে হয় প্রথম জানাজা। এতে অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সোহেল রানার পরিবারের একজনকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন।
আগুনে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর যুদ্ধে জিতলেও মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটায় সিঙ্গাপুর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাঁর মরদেহ। সকালে মরদেহ নেয়া হয় ফুলবাড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে।
সেখানে ফায়ার ম্যান সোহেল রানার পরিবারের সদস্য ও তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মীরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের সময় উদ্ধার কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করে এবং অন্যের জীবন বাঁচিয়ে যে দৃষ্টান্ত সোহেল রানা স্থাপন করেছেন, তা পুরো বাহিনীর জন্য গৌরবের।
স্বজন হারানোর ব্যাথা থাকলেও নিহত সোহেলের পরিবারের সদস্যরা গর্বিত তাঁর জন্য।
বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হন সোহেল রানা। সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এইচএসসি পাস করার পর ২০১৪ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন সোহেল। তাঁর আয়ে চলছিল পুরো পরিবার। ছোট তিন ভাই রুবেল হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের পড়া-লেখার খরচও জোগাতেন সোহেল। তাঁর মৃত্যুতে পুরো পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
সোহেলের বাবা নুরুল ইসলাম (৬৫) পেশায় কৃষক। বয়সের কারণে তিনি এখন কৃষি কাজ করতে পারেন না। নুরুল ইসলামের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সোহেল দ্বিতীয়। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ