Sobujbangla.com | মিয়ানমারের চক্রান্ত নস্যাতে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

মিয়ানমারের চক্রান্ত নস্যাতে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন

  |  ১৯:২৪, এপ্রিল ০৮, ২০১৯

প্রতিবেশী মিয়ানমারের চক্রান্ত নস্যাতের পাশাপাশি নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান জানান দিতে সেন্টমার্টিনে টহল দিতে শুরু করেছে বিজিবি। মোতায়েনের দ্বিতীয় দিনেই কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত এ বাহিনী। সেই সঙ্গে ২২ বছর পর স্থায়ী বর্ডার আউট পোস্ট-বিওপি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে।
এর মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ১৭ বর্গকিলোমিটারে এই দ্বীপে বসবাস করে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ। আর এখানকার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস মাছ ধরা আর পর্যটন।
১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নিয়োজিত ছিলো এখানে। পরে তা টেকনাফে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপকে মিয়ানমার বেশ কয়েকবার তাদের মানচিত্রে উপস্থাপন করে নিজেদের বলে দাবি করার অপচেষ্টা করে। এরকম বাস্তবতায় এ দ্বীপের সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় ২২ বছর পর রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে ফের পুরোদমে কাজ শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
টেকনাফ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বহির্দেশের কোনো আক্রমণ যাতে এখানে না আসে। এই দ্বীপকে নিয়ে অন্য কেউ যাতে কোনো চিন্তা না করতে পারে তা বন্ধ করা। আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্য এখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের দাবি করাকে অযৌক্তিক এবং ভারী অস্ত্রসহ বিজিবি মোতায়েনের সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ বলেন, মিয়ানমার কিভাবে সেন্টমার্টিনকে তাদের অংশ ভাবে এটা হাস্যকর বিষয়।
মানবাধিকার কর্মী নুর খান বলেন, সরকার বিজিবি মোতায়েন করেছেন, এটা নিরাপত্তার জন্য জরুরি ছিল।
আর জেলা প্রশাসক জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গারা মানব পাচারের শিকার হচ্ছে। মাদকের পরিমাণ ওই এলাকায় বেড়ে গেছে। নিরাপত্তার জন্যই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এখন কোস্টগার্ডের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সীমান্ত নিরাপত্তায় দ্বীপটিতে দায়িত্ব পালন করবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ