Sobujbangla.com | পহেলা বৈশাখ নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা : আইজিপি
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা : আইজিপি

  |  ১৮:১০, এপ্রিল ০১, ২০১৯

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইজিপি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আইজিপি আজ সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা দেন।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে উদ্যাপনের লক্ষ্যে পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জনগণ যাতে পহেলা বৈশাখ আনন্দ ও উৎসবের সাথে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সবাইকে পেশাদারির সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আইজিপি পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে জনসমাগমস্থলে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।
আইজিপি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ নিরাপদে উদযাপন করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ বৃহৎ জনসমাগমস্থল এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য পুলিশের হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেল স্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালসহ জনসাধারণের চলাচলের স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
বর্ষবরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, সকল মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। রমনা পার্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে। এ ছাড়া, ডিএমপি ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’-এর মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেবে।
সভায় র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. শাহাব উদ্দীন কোরেশী, এনএসআইর পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ