Sobujbangla.com | চট্টগ্রামের ‘কিশোর চোরের দল’
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

চট্টগ্রামের ‘কিশোর চোরের দল’

  |  ২০:১১, মার্চ ৩০, ২০১৯

মাত্র ১৮ বছর বয়সে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বাসা বাড়িতে আড়াইশ’র বেশি চুরি। বাধা পেলে ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করে রামদা’র মতো ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র। চুরি থেকে বাদ যায়নি স্কুল-কলেজ কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। চট্টগ্রামে এ ধরণের একটি কিশোর অপরাধী চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। আটকের পর দলের ৫ জন নিজ মুখে স্বীকার করেছে নানা অপকর্মের কথা।
নগরীর ১৬ থানার মধ্যে এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে এ কিশোর চোর দলের হাত পড়েনি। প্রথমে টার্গেট নির্ধারণ করে নানা কৌশলে বাসা কিংবা অফিসে প্রবেশ করে চুরি করে নিয়ে আসে মূল্যবান জিনিসপত্র। চুরির টার্গেটের প্রথম দিকে থাকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। এক সময় ছোটখাটো চুরি করলেও গত কয়েক বছর ধরে অন্তত আড়াইশ’ বড় ধরণের চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা নিজ মুখে স্বীকার করে দলের দুই সদস্য।
কিশোর চোর দলের দলের দু’জন সদস্য বলেন, তারা আগে অন্য কাজ করতো। পরবর্তীতে ছোটখাটো চুরির সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে বড় ধরণের চুরির সাথে জড়ায়।
মাদারবাড়িসহ আশপাশের এলাকা থেকে আটক হওয়া এ দলের সদস্যদের দাবি, এক সময় তাদের সবাই ভাঙারি কুড়ানোর কাজ করলেও পরবর্তীতে বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় চুরির সাথে জড়িয়েছে।
চোর দলের সদস্যরা জানান, বড়ভাইদের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা চুরির জন্য যেতো। শুরুর দিকে নিজে থেকে তারা চুরি করতে যেতো না।
তবে পুলিশের দাবি, মূলত নেশার টাকা যোগাড়ের জন্য এ চক্রের সদস্যরা চুরির সাথে জড়িয়েছে। আর চুরির কাজে ব্যবহার করে তারা নানা কৌশল।
সিএমপির অধীনস্থ কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, তারা বিভিন্ন কৌশলে বাসাবাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিস চুরি করে। পারিবারিক ও মাদকের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা এ ধরণের কাজে জড়িয়েছে।
আটককৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় অস্ত্র এবং ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং, কোতোয়ালী থানায় আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ