Sobujbangla.com | ফুটবলারের ঘাটতি পূরণে দায়িত্ব নেয়া উচিত ক্লাবগুলোর
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ফুটবলারের ঘাটতি পূরণে দায়িত্ব নেয়া উচিত ক্লাবগুলোর

  |  ২০:৪০, মার্চ ২৫, ২০১৯

জাতীয় দলে মানসম্পন্ন স্ট্রাইকারের অভাবটা এখন স্পষ্ট। চলমান এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ বাছাইপর্বে দলের পারফরম্যান্সে সেই হাহাকার আরও বেড়েছে। ফুটবলার তৈরির মঞ্চ প্রিমিয়ার লিগে খেলা দলগুলোয় প্রতিভাবান দেশি খেলোয়াড় থাকলেও, সুযোগের ঘাটতিকেই এই অভাবের মূল কারণ হিসেবে মনে করেন আবাহনীর হেড কোচ মারিও লেমোস। শিরোপার লড়াইয়ের পাশাপাশি দেশের ফুটবলের এই অভাব পূরণে ক্লাবদেরও দায়িত্ব নেয়া উচিৎ, মতামত সংশ্লিষ্টদের।
বাহরাইনে নজরকাড়া ফুটবলে মন জয় করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ দল। কিন্তু পুরো মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো বাঘ শাবকরা, গোলমুখে গেলেই যেন হঠাৎ বেড়াল বনে যান। চিত্রটা খুব আলাদা নয় জাতীয় দলেও।
মাঠের দর্শক আর জৌলুস হারালেও সম্প্রতি অর্থলগ্নি বেড়েছে দেশের ক্লাবগুলোতে। সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে চলছে নানা আয়োজন। তবে লিগ থেকে কতটা উপকৃত হচ্ছে জাতীয় দল? গোলমুখে ব্যর্থতা কাটানোর মতো দেশি স্ট্রাইকার কি আদৌ আছে ক্লাবগুলোতে?
এ বিষয়ে পর্তুগিজ ফুটবলার মারিও লেমোস বললেন, আমার দল ছাড়াও পুরো টুর্নামেন্টে বেশকিছু সম্ভাবনাময় স্ট্রাইকারদের আমি দেখেছি। তবে সমস্যাটা হচ্ছে তাদেরকে আরও বেশি সুযোগ দিতে হবে। একজন স্ট্রাইকার হঠাৎ করেই তৈরি হয় না। দুই তিন ম্যাচে গোল নাই পেতে পারে, এরপরও তাকে পুরো নব্বই মিনিট খেলানো উচিৎ। তাছাড়া আপনি কখনই একজন আত্মবিশ্বাসী স্কোরার পাবেন না।
লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ১৫ জনের মাত্র ৩ জন দেশি। যদিও টুর্নামেন্টের একমাত্র হ্যাটট্রিকটি এসেছে এক দেশির পা থেকেই। তবে প্রতিভা থাকলেও তাৎক্ষণিক ফলাফল পেতে বিদেশি স্ট্রাইকারদের প্রতি ক্লাবগুলোর আস্থার কথাও ব্যাখ্যা করলেন পর্তুগিজ ফুটবলার মারিও লেমোস।
তিনি বলেন, শুধু ম্যানেজমেন্ট কেন, কোচ হিসেবে আমিও লিগে শিরোপা জয়কে প্রাধান্য দেবো। তবে শিরোপার দৌড়ে থাকলেও দেশের ফুটবলে অবদান রাখা সম্ভব। বিদেশীদের সহযোগীর দায়িত্বে রেখে দেশি খেলোয়াড়দেরকে মূল জায়গায় খেলানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা দুটোই বাড়বে।
ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের উদাহরণ টেনে দেশের প্রতি এই নৈতিক দায়বদ্ধতার দিকে ইঙ্গিত করলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয়। ধরা-বাঁধা কোনো নিয়মকানুন না থাকলেও, এই বাড়তি দায়িত্ব নিতে ক্লাবগুলোর এগিয়ে আসা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয়।
দেশের ফুটবলের উন্নয়নে যেমন দরকার বিদেশি দক্ষ খেলোয়াড় সংযুক্তি, তেমনি মাঠের সকল অবস্থানে দেশি খেলোয়াড়দের সুষমবন্টনটাও সময়ের সাথে হয়ে উঠেছে অপরিহার্য।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ