Sobujbangla.com | ভিন্নমত হলেই নির্যাতন নেমে আসছে : ফখরুল
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ভিন্নমত হলেই নির্যাতন নেমে আসছে : ফখরুল

  |  ১৮:৩৭, মার্চ ২৩, ২০১৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অবৈধ সরকার আজকে দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অধিকার তারা কেড়ে নিচ্ছে। আজকে কবিকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। সাহিত্যিককে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। শিল্পীকেও কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মোট কথা, কেউ ভিন্নমত পোষণ করলেই তাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসছে।’
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এ শোকসভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছি আমরা। এই কঠিন সময় সহজ সময় হয়ে আসবে যদি আমরা সবাই মনে করি, হ্যাঁ আমরা পারব। আমরা এটা করতে পারি, আমরা এই নৈরাজ্যকে দূর করতে পারব। আমাদের বুকের উপর যে পাথর আছে সে পাথর সরাতে পারব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যদি কবি আল মাহমুদের মতো আমৃত্যু সংগ্রাম করতে থাকি তাহলে আমরা অবশ্যই পারব এবং আমরা জয়ী হব। এই বোধ আনতে হবে। এই বোধ না আনতে পারলে আমরা সফল হতে পারব না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনো হতাশ হবেন না, হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা জয়ী হবেই। এ দেশের মানুষ জয়ী হবে। যে রাজনীতি মানুষের কথা বলে, কৃষকের কথা বলে, যে রাজনীতি এই মাটির কথা বলে, যে রাজনীতিতে মানুষের গন্ধ পায় সে রাজনীতি কখনো পরাজিত হতে পারে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগে পৃথিবীর বিখ্যাত সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি ভিন্নমতের একজন লেখক। তিনি ঢাকায় এসেছিলেন বক্তব্য দেওয়ার জন্য। কিন্তু যে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল সেটা তিনি দিতে পারেননি। কেননা নানাভাবে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কিছুটা ভয় পেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার প্রশ্ন এই জায়গায়, যারা আজকে ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, যাদের মধ্যে ন্যূনতম সহনশীলতাটুকু নেই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে কেন? সরাসরি নর্থ কোরিয়ার কিমের মতো বলা উচিত যে, আমি একদলীয় শাসনে বিশ্বাস করি। আমি যা বলব সেটাই আইন, এ কথা বললেই তো হয়ে যায়। একটা ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে প্রতারণার মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু করা হয়েছে।
জাসাসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গীতিকার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ