বিরোধী দলীয় উপনেতা হচ্ছেন রওশন
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকে আউট হলেন গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তার স্থলে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
শনিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ স্বাক্ষরিত এক সাংগঠনিক নির্দেশে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
সাংগঠনিক নির্দেশে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি প্রধান বিরোধী দলের উপনেতার পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অপসারণ করছি। এখন প্রধান বিরোধী দলের উপনেতার পদে বেগম রওশন এরশাদকে মনোনীত করা হলো। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে সংসদের স্পিকারের সমীপে প্রস্তাব পেশ করা হলো।
এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে এক সাংগঠনিক নির্দেশে তাকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেন জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। ওই নির্দেশে তাকে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন জালালী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাংগঠনিক নির্দেশে বলা হয়, জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এই মর্মে আমার পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, আমি ইতোপূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমার অবর্তমানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের পার্টি পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমি এটাও আশা প্রকাশ করেছিলাম যে, পার্টির পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। কিন্তু পার্টির বর্তমান সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমার ইতোপূর্বেকার সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিলাম।
নির্দেশে আরও বলা হয়, যেহেতু কাদের পার্টি পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে এবং তিনি পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। পার্টির সিনিয়র নেতারাও তার নেতৃত্বে সংগঠন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এমনতাবস্থায় সংগঠনের স্বার্থে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং কো-চেয়াম্যানের পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হলো। তবে তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম পদে বহাল থাকবেন।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 