Sobujbangla.com | জলাধার ও কৃষিজমি নষ্ট না করে অবকাঠামো নির্মাণের আহ্বান।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

জলাধার ও কৃষিজমি নষ্ট না করে অবকাঠামো নির্মাণের আহ্বান।

  |  ১৯:৩০, মার্চ ০২, ২০১৯

জলাধার এবং কৃষিজমি নষ্ট না করে অবকাঠামো নির্মাণ করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রকৌশলীদের ৫৯তম কনভেনশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে প্রকৌশলীদের।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) কনভেনশন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন প্রকৌশলীরা।
শেখ হাসিনা বলেন, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত দেশের যে উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। শেখ হাসিনা মনে করেন, উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উন্নয়নে আমরা এখন প্রায় ১ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট গ্রহণ করি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আর এটা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় ভূমিকা কিন্তু আমাদের প্রকৌশলীদের।
প্রকৌশলীদের পেশাগত উৎকর্ষতায় তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু সড়কের ওপর নির্ভর না করে রেলওয়ে এবং নৌপথ পরিবহন কিভাবে আরো কার্যকর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি জানান, কৃষিজমি ঠিক রেখে শিল্পায়নের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই পরিকল্পনা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের জমির বিষয়টি মাথায় রাখার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে আপনারা সম্পৃক্ত থাকেন। আপনারা খেয়াল রাখবেন যেন আমাদের যে কৃষি জমি, অন্তত যেটা তিন ফসলি জমি, সেগুলি যেন কোনোমতে নষ্ট না হয়। আমাদের জলাধারগুলো যেন সংরক্ষিত থাকে। কারণ জলাধারগুলো না থাকলে পরে, আপনারা দেখেছেন যে সভ্যতা গড়ে ওঠে নদীর তীর ধরেই। নদীর তীর ঘেঁষেই কিন্তু বিশ্বের সকল সভ্যতা গড়ে উঠেছে। কাজেই জলাধারটা একান্তভাবে প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে, খাল-বিলগুলো বাঁচাতে হবে, জলাধারগুলো বাঁচাতে হবে। যেকোনো একটা পরিকল্পনার সঙ্গে একটা জলাধার পরিবেশটাও সুন্দর রাখে জায়গাটাও একটু মনোরম হয়। আবার যেকোনো দুর্ঘটনার সময় কাজে লাগে, যেমন আগুন লাগলে পানির প্রয়োজন হয়।’ সেই সঙ্গে দেশের জলবায়ুর দিকটি খেয়াল রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের তাগিদ দেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ