ভোটকেন্দ্রের আশপাশে যান চলাচলের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে কাল। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। প্রধান সড়কে গণপরিবহণ চলবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে যান চলাচলের বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশ না নেয়া কমিশনের জন্য অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি।
রাত পোহালেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাফিন আহমেদ ছাড়াও রয়েছেন আরো তিন প্রার্থী। এরই মধ্যে শেষ প্রচার প্রচারণার পালা।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে শুরু হয় ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালিসহ নানা নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ। মোট বারোটি স্থান থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরের ১ হাজার ২শ ৯৫টি কেন্দ্রে। যদিও এ নির্বাচন খুব একটা উত্তাপ ছড়াতে পারেনি ভোটারদের মাঝে।
ভোটাররা বলেন, ভোট দেওয়া নিয়ে একটা কৌতূহল থাকে, ভোটারদের মাঝে সেই কৌতূহল নাই। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি দেখে আগ্রহ কম, আসলে আগ্রহ বেশি থাকতো।
নির্বাচন পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন সব দলের অংশ না নেয়াটা অস্বস্তিকর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু সুন্দর এবং আইনানুগ নির্বাচন হোক। ভোট গ্রহণের সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হবে। সব দল অংশগ্রহণ করলে আমরা খুশি হতাম, অংশগ্রহণ না করাটা অস্বস্তিকর।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে যান চলাচলে তেমন একটা বিধিনিষেধ থাকছে না। প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহণও চলবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলবে, জরুরিভাবে যান ব্যবহার করতে আমাদের কাছ থেকে স্টিকার নিয়ে ব্যবহার করবে।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হয় ঢাকা উত্তরের মেয়র পদ। উত্তরের সব ক’টি ওয়ার্ড ছাড়াও নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে আলাদা ভোট হবে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে। দক্ষিণ সিটিতে যুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।