Sobujbangla.com | ঐক্যফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ঐক্যফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে

  |  ১৮:০০, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯

জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘আজকে কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রতিবাদ করছি। আর প্রতিবাদ নয়। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।
আ স ম রব বলেন, ‘মাঠের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আ স ম রব। ‘৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাতীয় ঐক্যফ্রট। বিকেল ৩টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় তা শেষ হয়।
আ স ম রব বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট ছিল, আছে, থাকবে। লাখ লাখ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়াসহ সবার মুক্তি দিতে হবে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসন ও গণতন্ত্র নিহত এবং মানুষ আহত হয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারে না। ৩০ নয় ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি করা হয়েছে।
রব বলেন, ‘রাষ্ট্র আজ ধ্বংস। সব লুট হয়ে গেছে। যে দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনিয়ম করে স্বাধীনতার দেশের ভবিষ্যৎ থাকে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
কর্মসূচির প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে দাবি করেছি।
মইন খান আরো বলেন, ‘দেশের পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মেগা উন্নয়নের নামে তারা মেগা দুর্নীতি করছে। এই হলো বর্তমান সরকারের উন্নয়নের নমুনা।
তিনি বলেন, ‘এভাবে তো গণতান্ত্রিক অধিকারের সংকট নিরসন হবে না। অথচ এজন্য কিন্তু দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। সরকারকে একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ইনশা আল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।
বিএনপি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর ঐক্যফ্রন্টের সমম্বয়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘জোরালো আন্দোলন শুরু হলে কিন্তু বুঝতে পারবেন। সুতরাং সময় থাকতে নতুন নির্বাচন দিন। আমরা শান্তিপূর্ণ থাকতে চাই।
আবদুস সালামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, বিএনপির সেলিমা রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কাজী আবুল বাশার, আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হাবিবুল ইসলাম হাবীব, এম এ আউয়াল খান, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন আক্তার, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরীও বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ