Sobujbangla.com | শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন: জোলি
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন: জোলি

  |  ১৭:৪৯, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা। মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গণভবনে আসেন ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত ও হলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গণভবন থেকে বের হন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা বর্তমানে বিশ্বে খুবই বিরল। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের উপর চাপ কমাতে ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব ব্যাংক কাজ করছে। রোহিঙ্গা সংকটে ইউএনএইচসিআর সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জোলি বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারের নাগরিকদের উপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কাহিনী শুনেছি। এমনকি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে।
এসময় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তার বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত জন্ম নিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি নতুন শিশু।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নিজেদের গৃহবন্দি জীবনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ