অন্যায়ভাবে কোনো শ্রমিক যেন হয়রানির শিকার না হন : টিপু মুনশি
দেশের তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘পোশাক খাতে সাম্প্রতিক মজুরি বিতর্ক : কী শিখলাম?’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
টিপু মুনশি বলেন, ‘সুসম্পর্ক রেখে কাজ করলে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প অনেকদূর এগিয়ে যাবে। পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। শ্রমিকরা শিল্পের জীবন। শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা দেখা শিল্প মালিকদের দায়িত্ব। যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরী পোশাক শিল্প দেশের প্রধান রপ্তানি খাত। এ খাতের শৃঙ্খলা ধরে রাখা একান্ত জরুরি। এ জন্য শ্রমিক পক্ষের আলোচক নির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন। তা হলে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। কোনো শ্রমিক অন্যায়ভাবে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হবেন না। তৈরি পোশাক শিল্পে কাজ করে অনেক শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আগামীতে আরো হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘শিল্প মালিকদের সচেতন থাকতে হবে, যাতে কেউ অপপ্রচার চালিয়ে এ শিল্প খাতকে অস্থির করতে না পারে। গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার মতো ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেছে। এগুলো প্রতিরোধ করতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। শিল্প মালিকগণ শ্রমিকের মজুরি বাড়িয়েছেন, কিন্তু পণ্যের ক্রেতাগণ সে তুলনায় তৈরি পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছে না যা তৈরি পোশাক শিল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।’
সিডিপি সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ। বিষয়ের ওপর আলোচনায় তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক, শ্রমিক প্রতিনিধিগণ বক্তব্য দেন।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেন, রংপুর অঞ্চল দেশের অনেক স্থান থেকে পিছিয়ে আছে। উন্নয়নের জন্য রংপুরে সবকিছুই আছে। উদ্যোগ গ্রহণের অভাবে আশানুরুপ উন্নয়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের জন্য রংপুর অঞ্চলের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সমস্যা এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরেন। উন্নয়নের ক্ষেত্র নির্বাচনের জন্য সাংবাদিকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। কাজ শুরুর আগে প্রয়োজন পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা। সে কাজটি আমাদের আগে করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে যে কোনো ভালো কাজ করা সম্ভব।
রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহসীনুল করিম লেবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ও মুফদি আহমেদ, সহ-সভাপতি ফিরোজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল কবির আসিফ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 