Sobujbangla.com | ট্রাফিক আইন মেনে চলুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ট্রাফিক আইন মেনে চলুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  |  ১৪:৩৬, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জনগনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে আপনারা ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ-২০১৯’ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ আজ থেকে শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
সবাই ট্রাফিক শৃংখলা মেনে চললে আবশ্যই যানজট হ্রাস পাবে এ কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবং যানজট মুক্ত নগরী গড়তে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়ই হেলমেট ব্যবহার করছে। যা আগে হত না। এটা আমাদের একটি সাফল্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজ থেকে ১৫ দিন পালন করা হবে ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ-২০১৯’। গত বছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৩ দফায় ট্রাফিক শৃংখলা কার্যক্রম পালন করে।
বিএনসিসি,রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সড়কের শৃংখলা ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সড়কে বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে যানজট নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা আশানুরূপ পূরণ হয়নি। আমরা ঢাকা মহানগরে ১৩০টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করেছি, এগুলো সিটি কর্পোরেশন তৈরি করছে। সেই সাথে ফুটওভার ব্রীজ ও ফুটপাত সংস্কারের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে অনেক বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ পালনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ট্রাফিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনা, ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ চলাকালে ঢাকা মহানগরে ৫৭টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাফিক বিভাগ তাদের কার্যক্রম চালাবে। এসময় রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগীতা করবে। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রোভার স্কাউট ও বিএনসিসিকে সংযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আইন না মানা। দেশের সুনাগরিক হিসেবে ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তা মেনে চলুন। ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ শেষ নয়। আমরা বছর জুড়ে ট্রাফিক শৃংখলা আনয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাবো। চলমান কার্যক্রম শেষে আমরা ফুটপাত দখল মুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করব। ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন ডিএমপি কশিশনার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ