Sobujbangla.com | ভারতের সহযোগিতায় চীনা কনস্যুলেটে হামলার পরিকল্পনা হয়: করাচি পুলিশ প্রধান
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ভারতের সহযোগিতায় চীনা কনস্যুলেটে হামলার পরিকল্পনা হয়: করাচি পুলিশ প্রধান

  |  ২০:৩৩, জানুয়ারি ১১, ২০১৯

আফগানিস্তানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সহযোগিতায় পাকিস্তানের করাচিতে চীনা কনস্যুলেটে হামালার পরিকল্পনা করা হয় বলে জানালেন করাচি পুলিশ প্রধান ড. আমির আহমেদ শেখ।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ডন।
গত বছরের নভেম্বরে তিন সশস্ত্র জঙ্গি করাচির ক্লিফটনের ব্লক-৪ এর ‘ হাই সিকিউরিটি জোনের চীন কনস্যুলেটে ঢোকার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের গুলিতে নিহত হন।
এসময় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুজন ভিসাপ্রার্থী নিহত এবং একজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। পরবর্তীতে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে।
পুলিশের এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জানান, এই হামলার তদন্তকালে করাচি, হাব ও কুয়েটা থেকে কমপক্ষে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের তদন্ত অনুসারে এই হামলার লক্ষ্য ছিল চীন-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি)। পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এটা করা হয়। তারা চেয়েছিল চীন যেন বিশ্বাস করে যে করাচি নিরাপদ শহর নয়।
হামলার বিস্তারিত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রায় চার মাস এই কনস্যুলেট বিশেষ করে এর ভিসা শাখা পর্যবেক্ষণ করে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীরা। তারা ভিসা শাখায় কখন এই কনস্যুলেটের গেট খেলা হয় এবং অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণ করতো।
তিনি বলেন, তারা কুয়েটা থেকে করাচিতে ট্রেনে একটি বোট ইঞ্জিনে অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। এসব অস্ত্র করাচির বলদিয়া টাউনের একটি বাড়িতে রেখেছিল । এক্ষেত্রে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হয়।
আমির আহমেদ শেখ সন্ত্রাসীদের সেল ফোন থেকে উদ্ধার করা কিছু ছবি দেখান। সেগুলোর একটি এই হামলার মাস্টারমাইন্ড বলে অভিযুক্ত আসলাম ওরফে আচো’র এক কাজিনের। আরেকটি আচো’র প্রধান সহযোগীর শ্যালকের।
তিনি বলেন, আচো এবং কিছু কুখ্যাত সন্ত্রাসী আফগানিস্তানে এক হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু আমি তাদের মরদেহ বা অন্য কোনও অকাট্য প্রমাণ ছাড়া এসব তথ্য বিশ্বাস করছি না।
নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা সন্ত্রাসীদের একটি পুরোনো কৌশল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ