পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও ভিডিওধারণ, গ্রেফতার ২

পটুয়াখালীর দুমকিতে দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ভিডিওধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুমকি থানা পুলিশ কামরুল আকন (২৬) ও হাবিব আকন (৩০) নামের দুই বখাটেকে গ্রেফতার করে রবিবার (১২ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম। ধৃতদের বাড়ি দুমকী উপজেলার দক্ষিন মুরাদিয়া গ্রামে এবং সম্পর্কে তারা ভুক্তভোগীর চাচা ও চাচাতো ভাই। দুমকি থানার ওসি আরও জানান, পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত উভয়কে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের একটি দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ভুক্তভোগীকে একই বাড়ির আবদুল হক আকনের বখাটে ছেলে কামরুল (২৬) বেশ কিছুদিন যাবত উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় কামরুল তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। শনিবার বিকেলে ঘরের অপর সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে একাকী ঘরে রেখে বাইরে গেলে কামরুল আকন, হাবিব আকনসহ ৪/৫ জন সহযোগী ওই শিক্ষার্থীর বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তারা ধর্ষণের ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা নূরজাহান বেগম দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাতেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে।