Sobujbangla.com | তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন

  |  ১৯:৪৫, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন আজ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার বঙ্গবন্ধু বুলভার্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রকৃত বন্ধুর প্রতিফলন দেখানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আমি তুরস্কের জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে আঙ্কারায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার আবক্ষ ভাস্কর্যটি উন্মোচন বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্বের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।  তিনি আরো বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ়ই করবে না, অধিকন্তু আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জন্য তাঁর আজীবন সংগ্রামে মুস্তফা কামাল আতার্তুকের সাহস ও নেতৃত্ব দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘মহান এই দুই নেতার নামে দুটি রাস্তা- আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু জাদ্দেসি ও ঢাকায় কামাল আতার্তুক এভিন্যু, শুধু দুই নেতার প্রতি বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণের মধ্যকার পারস্পারিক ভালবাসা ও শ্রদ্ধারই প্রতিফলন নয়, অধিকন্তু তাঁদের আদর্শ ও দর্শনের প্রতি আস্থারও বহিপ্রকাশ।’ বাংলাদেশ ও তুরস্ক ঐতিহাসিক, সংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই সম্পর্ক এমন একটি পরিপক্কতায় পৌঁছেছে- যে দেশ দুটির জন্য তা অভিন্ন গর্বের। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটি উন্মোচন করলাম, যখন আমরা বিজয়ের মাস উদযাপন করছি।’ মোমেন বলেন, ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে গতিপথ ও রূপরেখাই পরিবর্তন করেননি ও তিনি এই অঞ্চলে এবং তার বাইরেও সব ধরণের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর পররাষ্ট্র নীতির আপ্ত বাক্য- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়- বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় তাঁর আন্তরিক অন্বেষা ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিফলন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যার গতিশীল নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ করে দেশ এবং বিশ্বে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার যাত্রা শুরু করেছেন। ড. মোমেন, যখন বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে এবং আমরাও একটি উদার, ধর্মনিরপেক্ষ, আধুনিক এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসাবে স্বীকৃত হচ্ছি।  আঙ্কারার গভর্নর, মেয়র এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ