Sobujbangla.com | যে ৩ কারণে রোষানলে পড়েন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

যে ৩ কারণে রোষানলে পড়েন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  |  ১৯:২৩, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১

একের পর এক বিতর্কিত ও বেসামাল মন্তব্যের জেরে পদ হারাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসৌজন্যমূলক বক্তব্যের কারণে তাকে আগামীকালের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর নিজ বাসভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি।’ মূলত সম্প্রতি তিন কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে রোষানলে পড়েন ডা. মুরাদ। কয়েকদিন আগে ফেসবুক লাইভে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন ও বর্ণবাদী বক্তব্য দেন তিনি। যার বেশিরভাগই প্রকাশযোগ্য নয়। তবে সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার মুখ ভীষণ খারাপ।’ যা নিয়ে দেশজুড়ে সব মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে একটি টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়। একই  মাধ্যমে যা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে একজন চিত্রনায়িকাকে নানা অশোভন কথাবার্তা ও হুমকি দিতে শোনা যায় এক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ শুনে তিনি ডা. মুরাদ হাসান বলে মনে করছেন অনেকে। এর এক পর্যায়ে গত শনিবার এক টিভি টকশো’তে বিএনপির সাবেক সাংসদ সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে ‘মানসিক রোগে আক্রান্ত’ এবং তার ‘চিকিৎসা দরকার’ বলে মন্তব্য করেন  মুরাদ হাসান। এতে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাধে। এই তিন ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল অফলাইন-অনলাইন। এজন্য তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন নারী অধিকারকর্মী, বিএনপি থেকে শুরু করে সরকারদলীয় প্রভাবশালী অনেক নেতা। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। এমনকি অভিযোগ অস্বীকার করেন ডা. মুরাদ। যার খেসারত গুনতে হচ্ছে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ